সাকিবদের তিন হেড কোচ কতটা দরকার

তিন কোচের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বলেছেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। ছবি: প্রথম আলো
তিন কোচের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বলেছেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। ছবি: প্রথম আলো
>দুদিনের বাংলাদেশ সফর শেষে কাল সন্ধ্যায় গ্যারি কারস্টেন ঢাকা ছেড়েছেন। কারস্টেনের সঙ্গে বিসিবি সভাপতির বৈঠক শেষে এসেছে সাদা ও লাল বল বা তিন সংস্করণের তিন পৃথক কোচের নতুন এক আইডিয়া। কিন্তু এ তত্ত্ব কতটা কার্যকর বাংলাদেশের ক্রিকেটে?

গ্যারি কারস্টেনের সঙ্গে আলোচনা শেষে কাল তিন সংস্করণের তিন পৃথক কোচের কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তিন অধিনায়কের বাংলাদেশ তো আগেই দেখা গেছে। এবার তিন কোচের বাংলাদেশ! দলের যেখানে একজন প্রধান কোচ পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে তিন সংস্করণের জন্য আলাদা আলাদা তিন কোচ!

বিসিবি অবশ্য এ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, পুরো বিষয়টিই আছে আলোচনার পর্যায়ে, তারপরেও বিসিবি সভাপতি যখন বলেছেন, ব্যাপারটা নিয়ে নিশ্চয়ই গুরুত্বের সঙ্গেই ভাবছে তারা। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে তিন সংস্করণের আলাদা কোচ কতটুকু দরকার, সেটি নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।

প্রথম আলোর ফেসবুক ও ইউটিউব পেজে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান ‘আলাপনে’ অতিথি হয়ে আসা বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ বললেন, ‘তিন হেড কোচ আইডিয়াটা নতুন। আমাদের এখন একজন হেড কোচই দরকার। তার সঙ্গে বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং, মাঝে মাঝে কোনো বিশেষজ্ঞ কোচ আসতে পারে। মাঝে মাঝে পরামর্শক আসতে পারে টি-টোয়েন্টিতে, যেহেতু এটা নতুন একটা সংস্করণ। এখন সব কোচ টেস্ট-ওয়ানডে ভালো বোঝে। টি-টোয়েন্টিতে যদি মনে করেন একজন কোচ বা পরামর্শক টেকনিক্যালি কিছু দিতে পারবে, তাহলে তাকে আনা যেতে পারে। টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ কোচ খুঁজবেন, এমন কেউ তো এখন নেই। সংস্করণটাই যে নতুন। এর চেয়ে বরং কোচের সহায়ক হাত হিসেবে যদি কাউকে চান সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিভাগ অনুযায়ী কোচ নেওয়া যেতে পারে।’


চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায়ের পর বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ খুঁজে পাওয়া কঠিনই হয়ে গেছে। বিসিবি সভাপতি কাল জানিয়েছেন, ১৫ জুনের আগে তাঁরা এ বিষয়টির একটা সমাধান করে ফেলবেন। বিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুকও বলছেন, সেটিই এখন জরুরি, ‘টি-টোয়েন্টি আসলে মানসিকতা বদলে দিয়েছে। বেশির ভাগ কোচ চায় কম সময়ে বেশি পয়সা। খেলোয়াড়েরা চায় বড় সংস্করণের চেয়ে ছোট সংস্করণে বেশি খেলতে। আইপিএলে দেখেন এক মৌসুমেই যে টাকা পায় একজন কোচ, সারা বছর তার ভালোভাবেই চলে যায়। তারা চিন্তা করে আইপিএলের পাশাপাশি আরেকটা টুর্নামেন্ট কাজ করে সারা বছরের উপার্জনটা সেরে নিতে। সবাই এখন স্বল্প সময়ে বেশি লাভ খোঁজে, কোচদের ক্ষেত্রেও তাই। কোচ খুঁজতে তাই বোর্ডের কষ্ট হচ্ছে। জানি কারস্টেনের সঙ্গে কথা অনেক দূর এগিয়েছিল। কী কারণে তিনি কোচ নির্বাচকের ভূমিকায় এলেন, সেটি বোধগম্য নয়। কাউন্টি বা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের এমন একজন কোচ, যিনি এখনো সেভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরিচিতি পাননি, এমন কাউকে দ্রুত নিয়ে নেওয়া দরকার। বড় নামের পেছনে ছুটতে ছুটতে সময় নষ্ট করলে চলবে না। বিশ্বকাপের কিন্তু বেশি দেরি নেই।’