ডি ভিলিয়ার্সের আইপিএল খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা

আইপিএলের আগামী মৌসুমে দেখা যাবে ডি ভিলিয়ার্সকে? ছবি: এএফপি
আইপিএলের আগামী মৌসুমে দেখা যাবে ডি ভিলিয়ার্সকে? ছবি: এএফপি
>আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণায় ডি ভিলিয়ার্স জানিয়েছেন দেশের বাইরে খেলার কোনো ইচ্ছা নেই তাঁর। এতে প্রশ্ন উঠেছে আইপিএলের আগামী মৌসুমে তিনি খেলবেন তো?

এবি ডি ভিলিয়ার্স এভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি তুলে রাখবেন তা কে ভেবেছে! সবাইকে অবাক করে দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন ক্রিকেটের ‘মি: ৩৬০ ডিগ্রি’। সঙ্গে রেখে গেলেন একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন—ডি ভিলিয়ার্স আইপিএল খেলবেন তো?

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ৯৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও অবসরের ঘোষণা দেন ডি ভিলিয়ার্স। বিদায়ের কারণ হিসেবে জানিয়েছেন ‘ক্লান্তি’। পাশাপাশি টুইটার বার্তায় তিনি এটাও বলেছেন, ‘আমার দেশের বাইরে খেলার কোনো ইচ্ছা নেই। সত্যিটা হলো, আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে টাইটানসের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চাই।’ ডি ভিলিয়ার্সের এ কথার ভিত্তিতেই তাঁর আইপিএলে খেলা না খেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়ে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। তিন মৌসুম সেখানে থাকার পর তিনি যোগ দেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। এরপর থেকেই বেঙ্গালুরুতেই রয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স। এবার তাঁর দল প্লে অফে উঠতে না পারলেও দারুণ খেলেছেন ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আইপিএলের আগামী মৌসুমে তাঁকে দেখা যাবে তো?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই প্রশ্নের জবাব খোঁজার চেষ্টা করছে। তাঁদের মতে, ‘দেশের বাইরে খেলা’ বলতে ডি ভিলিয়ার্স হয়তো ‘কোলপ্যাক’ চুক্তির অধীনে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলাকে বুঝিয়েছেন। গত দুই বছরে দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কজন ক্রিকেটার দেশের জার্সি ছেড়ে এই চুক্তির অধীনে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলা শুরু করেছেন। মরনে মরকেল তাঁর সর্বশেষ উদাহরণ। তবে ডি ভিলিয়ার্স যেহেতু বলেই দিয়েছেন ‘দেশের বাইরে খেলার কোনো ইচ্ছা নেই’—তার মানে ‘কোলপ্যাক’ চুক্তিতে নিজেকে জড়াচ্ছেন না তিনি।
তার মানে, আইপিএলের ২০১৯ মৌসুমে তাঁর খেলার সম্ভাবনাটা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডি ভিলিয়ার্স সেরকম একটা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘এটা (আইপিএল) এমন একটা টুর্নামেন্ট যা হাতছাড়া করা যায় না। মিথ্যা বলব না, আর্থিকভাবে এটা দারুণ একটা টুর্নামেন্ট। আবার পরিবার থেকে সাত সপ্তাহ দূরে থাকাও সহজ ব্যাপার নয়। টুর্নামেন্টের একপর্যায়ে পরিবার আমার কাছে চলে আসে। ব্যাপারটা তেমন ভালো না হলেও এভাবেই চালিয়ে নিতে হবে।’
সেই সাক্ষাৎকারে ডি ভিলিয়ার্স আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেছেন, ‘ইংলিশ এবং অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের ভালো পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। বাকিদের জন্য আসলে মানিয়ে নিতে হয়। আপনি যদি দক্ষিণ আফ্রিকান র‍্যান্ড-এ (মুদ্রা) লেনদেন করেন তাহলে ব্যাংকে কিছু ডলার থাকলে মন্দ হয় না।’