'সৌভাগ্যের প্রতীক'দের কিয়েভের ফাইনালে পাবে না রিয়াল?

মাঠের খেলা নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে জিদানকে, তবে মাঠের বাইরের ঘটনাও কম চিন্তায় ফেলেনি ক্লাবকে। ছবি: রয়টার্স
মাঠের খেলা নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে জিদানকে, তবে মাঠের বাইরের ঘটনাও কম চিন্তায় ফেলেনি ক্লাবকে। ছবি: রয়টার্স

ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ হয়তো এখন ভাবছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালটা কিয়েভেই কেন হতে হলো! এত দিন ধরে যে কুসংস্কার মেনে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ, সেটিই যে এখন ভাঙতে হচ্ছে। ‘সৌভাগ্যের প্রতীক’ বনে যাওয়া বিমানের ক্রুদের এবার আর নিতে পারছে না রিয়াল। কুসংস্কারাচ্ছন্ন মন তাঁর, রিয়াল সভাপতি পেরেজের এ ভেবে রাতের ঘুম নষ্ট হওয়ার দশা কি না কে জানে!

গত পাঁচ বছরে এ নিয়ে চারবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে রিয়াল। আগের তিনবারই জিতেছে শিরোপা। ১২ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে ২০১৪ সালে লিসবনে দশম চ্যাম্পিয়নস লিগটা এসেছে বলেই কিনা সেবার বিমানের ক্রুদের পরের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালগুলোতেও নিয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। মিলান আর কার্ডিফেও শিরোপা জেতায় কুসংস্কারটা পেয়েছে আরও বড় ভিত্তি।

কিন্তু এবার তা করা যাচ্ছে না। ইউক্রেনের রাজধানীতে যেতে মাদ্রিদকে পাড়ি দিতে হবে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার। লিসবন-মিলান-কার্ডিফের তুলনায় দূরত্ব বেশি, আগের চেয়ে বড় বিমানও দরকার হচ্ছে তাই। তার মানে বিমানের ক্রুও বদল! আগের তিনবার রিয়াল গিয়েছিল এয়ারবাস এ৩২১-এ করে। এবার রিয়ালের বাহন এয়ারবাস এ৩৪০। যেটি চালাতে হলে আগের ক্রুদের তিন মাসের আলাদা একটা কোর্স করতে হতো।

তবে সৌভাগ্যের প্রতীক ক্রুরা নেই বলে দুশ্চিন্তা হচ্ছে বর্তমান ক্রুদেরও। রিয়াল শিরোপা না জিতলে যে তাঁদের কপালে জুটে যেতে পারে ‘কুফা’ তকমা! এবারের ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন জমিন বাজতান স্প্যানিশ দৈনিক এল মুন্দোকে বলেছেনও, ‘আশা করি, বোনেটের (আগের ক্যাপ্টেন) মতো আমরাও সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারি। না হলে আমার বাচ্চারাও, যারা কিনা রিয়াল সমর্থক, আমার ওপর রাগ করবে।’

অবশ্য পেরেজ যেহেতু আছেন, আগের ক্রুদেরও থাকার সম্ভাবনা একেবারেই বাদ দেওয়া যায় না। রিয়ালের এক কর্মকর্তাই এল মুন্দোকে বলছিলেন, ‘সভাপতিকে যতটুকু জানি, তিনি নিশ্চিত ওই ক্রুদের ফাইনালে অতিথি হতে আমন্ত্রণ জানাবেন। উনি অনেক কুসংস্কারাচ্ছন্ন।’