সৌম্য এগোচ্ছেন কী পরিকল্পনায়?

আফগানিস্তান সিরিজে আবারও রানে ফিরতে চান সৌম্য সরকার। ছবি: প্রথম আলো
আফগানিস্তান সিরিজে আবারও রানে ফিরতে চান সৌম্য সরকার। ছবি: প্রথম আলো
>সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার পর ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে রান পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ দল এত ভালো খেলল, অথচ বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাটে রান নেই! জুনের প্রথম সপ্তাহে আফগানিস্তান সিরিজ দিয়ে আবারও ছন্দে ফিরতে চান সৌম্য। আজ জানালেন, বড় পরিকল্পনা নিয়েই তিনি এগোচ্ছেন।

কোচ নিয়ে কথা বলতে এসে গ্যারি কারস্টেন হাতে গোনা যে কজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছেন, সৌম্য সরকার তাঁদের একজন। বর্তমান বাংলাদেশ দলে তাঁর গুরুত্ব বা সম্ভাবনা কতটুকু, সেটি শুধু কারস্টেনের সঙ্গে আলোচনা দিয়ে মাপা যাবে না। সৌম্যকে কেন দরকার, এ প্রশ্নে কদিন আগে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেছিলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা যত খেলোয়াড়কে নিয়ে চিন্তা করি, ওর কথাটা সবার আগে চলে আসে।’

প্রতিভাবান, স্টাইলিশ। উড়ন্ত সূচনা এনে দলকে দিয়ে বড় স্কোর গড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। স্ট্রোকের পসরা সাজিয়ে সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিতে পারেন। সৌম্য যখন ছন্দে থাকেন, মুগ্ধ নয়নে তাঁর ব্যাটিং দেখতে হবে। সব ঠিকই আছে। কিন্তু ওই যে একটা রোগ! সৌম্যর রোগ বলতে ধারাবাহিকতার অভাব। ক্যারিয়ারের শুরুতে যতটা ধারাবাহিক ছিলেন, এখন সেটি কম। এক সিরিজে ভালো খেলেন তো পরের সিরিজে নিষ্প্রভ। নিদাহাস ট্রফির আগে চার ইনিংসে ৪৭, ৪৪, ৫১ ও ০ রান করা সৌম্য মার্চে প্রেমাদাসায় রান করতেই ভুলে গেলেন! নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ এত ভালো খেলল অথচ সৌম্যর ব্যাটে রান নেই!

সমস্যাটা কোথায়? কেন ধারাবাহিক হতে পারছেন না সৌম্য? আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে যে ব্যাখ্যা দিলেন ২৫ বছর বয়সী ওপেনার, তাতে মনে হবে ধারাবাহিক না হওয়ার মধ্যেও ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাচ্ছেন তিনি, ‘সবাই চায় ভালো করতে। কিন্তু প্রতিদিনই তো ভালো করা যায় না। প্রতিদিন ভালো করলে চাওয়া-পাওয়ার আগ্রহটা কমে যায়। যেহেতু খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, এখান থেকে কতটা কঠোর পরিশ্রম করে দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারি, ওটাই চিন্তা করছি। ভালো খেলারই চেষ্টা করি। যারা প্রশ্ন তোলেন, ভালো খেললে তাঁরাই তখন উল্টোটা বলবেন।’

তবে সৌম্য একেবারেই কানে তুলতে চান না সমালোচকদের কথা, ‘শেষ কয়েকটা ম্যাচ ভালো করিনি। নিজের কাছে তাগিদ থাকে ভালো করার। তারপর মানুষের কথা শুনলে মনে হয় আসলেই খারাপ খেলছি। যত কথা শুনি ততই মনে পড়ে যায়। চেষ্টা করি এসব না শুনে অনুশীলনে আরও বেশি মনোযোগ দিতে।’

সামনে যেহেতু আফগানিস্তান সিরিজ, কী পরিকল্পনায় এগোচ্ছেন, সেটিও জানালেন সৌম্য। কী সেই পরিকল্পনা, সেটি জানা না গেলেও বড় পরিকল্পনাতেই যে এগোচ্ছেন, সেটি বলতে অসুবিধা নেই তাঁর, ‘সব সময়ই একটা পরিকল্পনা থাকে। যদি ছোট পরিকল্পনা করি, তাহলে সফল হওয়ার সুযোগ কম। অবশ্যই বড় পরিকল্পনা থাকে। ওটাই সফল করার চেষ্টা করি। যখন পারি, নিজের কাছেই অনেক ভালো লাগে যে লক্ষ্যটা পূরণ হয়েছে।’

সৌম্য লক্ষ্যপূরণে কত এগোতে পারবেন, সেটি এখনই বলা কঠিন। তবে এটা তো বলা যায়, কারস্টেনের সঙ্গে কী কথা হলো তাঁর? ‘আমার মতামত জানতে চেয়েছিল আর কী। কীভাবে খেলতে পছন্দ করি, কোন জায়গায় খেলি, কী করি না করি, এসব জানতে চেয়েছেন’—সৌম্য যেন বোঝাতে চাইলেন কিছু কথা থাক না গোপন!