ডেথ ওভার ঠিক করে দেবে ফাইনালে যাবে কে!

সাকিবের ডেথ ওভারের বোলিং ভোগাচ্ছে হায়দরাবাদকে। তবে এই তালিকায় তিনি একা নন। ফাইল ছবি
সাকিবের ডেথ ওভারের বোলিং ভোগাচ্ছে হায়দরাবাদকে। তবে এই তালিকায় তিনি একা নন। ফাইল ছবি
>এবার প্রথম ১১ ম্যাচের ৯টি জিতেছিল হায়দরাবাদ। সেই তারাই গ্রুপ পর্বে ১২তম ম্যাচে এসে হারতে শুরু করল। টানা চার ম্যাচ হেরে আজ মুখোমুখি হচ্ছে কলকাতার। কেকেআরের ছবিটা উল্টো। প্রথম ৭ ম্যাচে মাত্র দুটি জেতা কলকাতা জিতেছে সর্বশেষ চার ম্যাচে। বদলে গেছে দুই দলের ডেথ ওভারের বোলিংয়ের চিত্রটাও।


জিততে কি ভুলে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ? উড়ন্ত সূচনার পড়ন্ত পতন দিয়েই কি শেষ হবে সাকিবদের এবারের আইপিএল? প্রশ্নগুলো উঠছে। কারণ, হায়দরাবাদ টানা চার ম্যাচ হেরেছে। সেই কবে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছিল যে দলটি, তারাই এখন শঙ্কায়। যদি বৃত্ত না ভাঙতে পারেন সাকিবরা, ট্রফিটার সুবাস পেতে পেতে হারিয়ে ফেলার হতাশাই সঙ্গী হবে। আজ কেকেআরের বিপক্ষে অলিখিত সেমিফাইনাল না জিতলেই তো সব শেষ!

এবার প্রথম ১১ ম্যাচের ৯টি জিতেছিল হায়দরাবাদ। এর মধ্যে জয় ছিল শুরুতে টানা ৩ আর শেষে টানা ৬ ম্যাচে। সেই তারাই গ্রুপ পর্বে ১২তম ম্যাচে এসে হারতে শুরু করল। সে পতনের স্রোত যে কিছুতেই বাঁধ দিয়ে রোখা যাচ্ছে না। প্রশ্ন হলো, কেন এমন হচ্ছে? উত্তরটা সহজ। চার-ছক্কার খেলায় বাকিরা যেখানে ব্যাটিংনির্ভর দল গড়ার অনুমিত পথে হেঁটেছে; হায়দরাবাদ জোর দিয়েছিল বোলিংয়ে। সেই বোলিং তাদের ভাসাচ্ছিল। এখন ডোবাচ্ছে।

বিশেষ করে ডেথ বোলিংয়ে। শেষের ওভারগুলোতে হায়দরাবাদের বোলিং ব্যাড়াছ্যাড়া লেগে যাচ্ছে। অথচ এটাই ছিল তাদের শক্তির জায়গা। প্রথম ১০ ম্যাচেও ডেথ ওভারে হায়দরাবাদের ইকোনমি রেট ছিল ৭.৪৭। প্রতিপক্ষকে শেষের ওভারগুলোতে হাত খুলে মারার কোনো সুযোগ তারা দিচ্ছিল না। এর ফলে অনেক লো স্কোরিং ম্যাচ জিতেছে হায়দরাবাদ। ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা হায়দরাবাদ ঢেকে দিয়েছে দুর্দান্ত বোলিংয়ে।

কিন্তু সর্বশেষ ৫ ম্যাচে ডেথ ওভারে হায়দরাবাদের বোলিংয়ের ইকোনমি রেট বেড়ে হয়েছে ১১.৮৭। এর মূল দায় হায়দরাবাদের তিন বোলারের। ভুবনেশ্বর কুমারের ডেথ বোলিংয়ের ইকোনমি রেট ৮.২ থেকে বেড়ে ১৫.১ হয়েছে। সিদ্ধার্থ কাউলের ইকোনমি রেট ৬.৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯.৯। সাকিব আল হাসানের ইকোনমি ৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩.৫।

কলকাতার গল্পটা ঠিক উল্টো। এবারের আইপিএল তারা শুরু করেছিল যাচ্ছেতাইভাবে। প্রথম ৭ ম্যাচে মাত্র দুটি জিতে নিরাপদ চারের বাইরে ছিটকে গিয়েছিল। সেই কলকাতার কী দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। সর্বশেষ চার ম্যাচ জিতেছে তারা। আর এখানেও প্রভাব রেখেছে ডেথ ওভারের বোলিং। আরও স্পষ্ট করে বললে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ নামের ২২ বছর বয়সী এক অচেনা বোলার। হুট করে দলে এসে ৬ ম্যাচে ১০ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই পেসার। সব কটি উইকেট এসেছে ১৬ থেকে ২০ ওভারের মধ্যে। তাঁর দলে আসা কেকেআরের পেস বোলিং আক্রমণের চেহারাই বদলে দিয়েছে। এর আগে কেকেআরের পেসারদের ইকোনমি ছিল ওভারে ১২.৬। কৃষ্ণ আসার পর সেটি ওভারে ৮.৫!