১৫০ মিলিয়নেও এসেনসিওকে বিক্রি করেনি রিয়াল!

রিয়ালের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করে নজরে এসেছেন এসেনসিও। ছবি: রয়টার্স
রিয়ালের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গোল করে নজরে এসেছেন এসেনসিও। ছবি: রয়টার্স

মার্কো এসেনসিও যে অনন্য প্রতিভার অধিকারী, এটা নতুন করে জানানোর কিছু নেই। গত স্প্যানিশ সুপার কাপের দুই লেগে দুটি অবিশ্বাস্য গোল এখনো মনে আছে সমর্থকদের। স্বয়ং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোই ভবিষ্যৎ ব্যালন ডি’অর বিজয়ী হিসেবে স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের নাম বলেছেন। এবারের বিশ্বকাপে স্পেনের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন এসেনসিও।

এসেনসিওর দিকে স্বাভাবিকভাবেই নজর পড়েছে ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোর। লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নাম জড়িয়ে দলবদলের গুঞ্জনও শোনা গেছে। কিন্তু গুঞ্জনগুলো যে আসলে সত্যি ছিল, সেটা এত দিনে জানা গেল। এসেনসিওর এজেন্ট হোরাসিও গ্যাগিওলি কাদেনা সারকে জানিয়েছেন এ তথ্য। গ্যাগিওলির দাবি, স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের জন্য নাকি ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাবও দিয়েছিল এক ক্লাব। দলবদলের ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি মূল্যে বিকিয়েছেন শুধু নেইমার (কিলিয়ান এমবাপ্পের দলবদলের আসল অঙ্ক এ মৌসুমে জানা যাবে)।

এ মৌসুমে ৩২ লিগ ম্যাচে ১৯টি ম্যাচের শুরুতে নামতে পেরেছেন এসেনসিও। খুব বেশি কিছু করেছেন বলা যাচ্ছে না, মাত্র ৬টি গোল। গোল করিয়েছেন ৫টি। গ্যাগিওলির দাবি এতেও এসেনসিওর মূল্য কমেনি, ‘মাদ্রিদ মার্কো এসেনসিওর জন্য দুটি প্রস্তাব পেয়েছিল, ১৫০ মিলিয়ন ইউরোও বলেছিল তারা। কিন্তু ক্লাব সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। ওর জন্য অসাধারণ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।’

২০১৫ সালে ৪ মিলিয়নের কম মূল্যে মায়োর্কা থেকে এসেনসিওকে কিনে এনেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর মধ্যেই রিয়ালের বড় বড় তারকাদের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। রিয়াল অভিষেকে ইউরোপিয়ান সুপার কাপে গোল করেছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে গোল করেছেন। ফলে রিয়াল গত বছরই ২০২৩ সাল পর্যন্ত নতুন চুক্তি করেছে এসেনসিওর সঙ্গে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এমন তারকাকে টানতে চাইবেই, আপনি কল্পনা করতেই পারছেন, প্রস্তাবগুলো ইংল্যান্ড থেকে এসেছিল। কারণ, ওরাই অবলীলায় এ খরচ করতে পারে। ওরা এটা বাড়াতেও পারত!

অঙ্কটা অনেক বাড়াতে হবে। কারণ, এসেনসিওকে রিয়াল কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, সেটা নতুন চুক্তিতেই বোঝা গেছে। চুক্তি অনুযায়ী রিয়ালের অনুমতি ছাড়া এসেনসিওকে নিতে চাইলে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হবে।