টানা তিন শিরোপা জিতে ইতিহাস জিদানের

শিরোপা হাতে জিদানের সোনালি হাসি। ছবি: এএফপি
শিরোপা হাতে জিদানের সোনালি হাসি। ছবি: এএফপি
>

চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথম কোচ হিসেবে টানা তিন শিরোপা জিতলেন জিনেদিন জিদান। তবে অনন্য এই সাফল্যের পেছনে খেলোয়াড়দের কৃতিত্বই বড় করে দেখছেন ফরাসি এ কোচ

সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাঁকে রাখা হয়। কাল রাতে স্থায়ী জায়গা করে নিলেন সর্বকালের সেরা কোচদেরও সংক্ষিপ্ত তালিকায়। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ হিসেবে মাত্র আড়াই বছরেই জিনেদিন জিদান ছাপিয়ে গেলেন স্যার অ্যালেক্স ফার্গূসন, পেপ গার্দিওলা, হোসে মরিনহোর মতো কিংবদন্তি কোচদের অর্জনকে।

সেটা চ্যাম্পিয়নস লিগে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে রিয়ালের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনবার ইউরোপসেরা হলেন জিদান। ফার্গুসন তাঁর দুই যুগেরও বেশি লম্বা কোচিং ক্যারিয়ারে এই অর্জনের দেখা পাননি। যেমনটা পাননি গার্দিওলা, মরিনহো, আরিগো সাচ্চি কিংবা ভিসেন্তে দেল বস্কের মতো কিংবদন্তিরা। জিদান আরও একটি জায়গায় অনন্য—চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে আর কোনো কোচই টানা তিন শিরোপা জিততে পারেনি। জিদানই প্রথম!

চ্যাম্পিয়নস লিগে ফরাসি এই কোচের যেন পয়মন্ত ভাগ্য। রিয়ালের দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র আড়াই বছর হলো। এর মধ্যেই ইতিহাস গড়া হয়ে গেছে—গত ৪২ বছরের মধ্যে প্রথম ক্লাব হিসেবে টানা তিন চ্যাম্পিয়নস জেতার কীর্তি গড়েছে জিদানের রিয়াল। সর্বশেষ টানা তিন শিরোপা জিতেছিল বায়ার্ন মিউনিখ (১৯৭৪-৭৬), ইউরোপিয়ান কাপে (চ্যাম্পিয়নস লিগের পূর্ববর্তী সংস্করণ)।

চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বকালের সেরা কোচদের সংক্ষিপ্ত তালিকাটা ছেঁটে আরও সংক্ষিপ্ত করা হলেও থাকবেন জিদান। কাল রাতের আগে এই টুর্নামেন্টে (চ্যাম্পিয়নস লিগ/ইউরোপিয়ান কাপ) তিন শিরোপা জয়ের মালিক ছিলেন শুধু দুজন কোচ—বব পেইসলি ও কার্লো আনচেলত্তি। কোচদের এই অভিজাত অর্জনের ক্লাবে সর্বশেষ সংযোজন জিদান। রিয়াল কোচ তাই আপাতত সব ভুলে এতসব অর্জনকে উপভোগ করতে চান। সেটা অবশ্যই তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে নিয়েই। জিদান বলেন, ‘ইতিহাসের অংশ হতে পেরে ভালো লাগছে। সবার আগে মুহূর্তটা উপভোগ করব। এখন এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

কোচ জিদানের উত্থান সত্যিই চমকপ্রদ। মাত্র আড়াই বছরে নয় শিরোপা, এর মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাই তিনটি—এত অল্প সময়ে এমন সাফল্য আর কোনো কোচ পেয়েছেন কি না তা গবেষণার বিষয়। এর রহস্য কি? জিদান জানালেন কোনো রহস্য নেই। সবই খেলোয়াড়দের অবদান। ‘আমি যা করছি সেটা শুধুই ধারাবাহিকতা—কোচ হিসেবে শুরুর পর দেখছি আমার খেলোয়াড়েরা দারুণ। কোনো রহস্য নেই। এটা আসলে অনেক পরিশ্রমের ফসল। আমাদের অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। কিন্তু তার পেছনে অনেক পরিশ্রমও আছে।’