ওয়ালশের ব্যাটিং পরামর্শও উপকৃত করছে মাহমুদউল্লাহদের

ব্যাটিং পরামর্শ দিচ্ছেন কোর্টনি ওয়ালশ। অভিজ্ঞতার ভান্ডার থেকে দেওয়া ক্যারিবীয় কিংবদন্তির পরামর্শগুলো কাজে দিচ্ছে মাহমুদউল্লাহদের।
মাহমুদউল্লাহ
মাহমুদউল্লাহ

থিলান সামারাবিরা চলে যাওয়ার পর সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের কোনো ব্যাটিং কোচ নেই। হেড কোচ তো নেই গত বছর অক্টোবর থেকেই। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, এতে দলের নাকি তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ব্যাটসম্যান যাঁরা আছেন, তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেই সব সমস্যার সমাধান করছেন। ব্যাটিং নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন কোর্টনি ওয়ালশও।

ওয়ালশের ব্যাটিং রেকর্ড অবশ্য একেবারে যাচ্ছেতাই। টেস্ট ও ওয়ানডেতে তাঁর ব্যাটিং গড় ৭। টেস্টে ৬১ বার অপরাজিত থেকেও গড়টাকে দুই অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি। টেস্টে ৪৩টি শূন্যও আছে তাঁর। ব্যাটসম্যান হয়তো তিনি ভালো ছিলেন না, কিন্তু ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা তাঁর চেয়ে ভালো জানত খুব কম মানুষই। টেস্টের একসময়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তো আর এমনি হননি।

মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, ওয়ালশের ‘ব্যাটিং পরামর্শে’ উপকৃত হয়েছেন, ‘গত পরশু আমি নেটে ব্যাটিং করছিলাম। অনেক বেশি তাড়াহুড়া করছিলাম। তখন ওয়ালশ এসে বললেন, তুমি তোমার টাইমিংটার ওপর আরও বেশি করে নির্ভর করো। ছোটখাটো এমন উপদেশ-পরামর্শ তিনি দিচ্ছেন। এটা আমার কাজে লেগেছে।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ যথেষ্ট চ্যালেঞ্জেরই। মাহমুদউল্লাহও মনে করেন, সিরিজটা খুব সহজ হবে না। আফগানরা ক্রিকেটের উদীয়মান শক্তি। কিন্তু এই শক্তির বিপক্ষে সিরিজ হারাটা যে বাংলাদেশের জন্য অপ্রত্যাশিত, সেটা জেনেই দেশ ছাড়ছে গোটা দল, ‘আমাদের লক্ষ্য সিরিজ জেতা। এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। দলটা আফগানিস্তান বলেই এটা অন্য রকম চ্যালেঞ্জের। আমাদের সুনাম ধরে রাখতে হলে জয়ের বিকল্প নেই। আশা করি, ভালো ক্রিকেট খেলে আমরা সিরিজ জিতে আসতে পারব।’

রশিদ খানের মতো বোলারের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা আছে বাংলাদেশ দলের, কিন্তু এই লেগ স্পিনারকে নিয়ে খুব বেশি ভাবছে না দল, ‘রশিদ অবশ্যই ভালো বোলার। ভালো ক্রিকেট খেলছে সে। আমাদেরও সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। জিনিসগুলো অনেক বেশি সহজ ও স্বাভাবিক রাখা দরকার। আমরা নিজেরা কী করতে পারি, ওটার দিকে যদি আমরা বেশি মনোযোগী হতে পারি, তাহলে আমাদের জন্যই ভালো হবে।’

আফগানিস্তান সিরিজটা পরের সিরিজগুলোর জন্য নতুন সুযোগ তৈরির উপলক্ষ হিসেবেই মানছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘র‍্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তান আট নম্বর, আমরা দশ নম্বর। আমি চ্যালেঞ্জটা দেখি এভাবে, প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচই আমাদের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ। কিছুদিন আগেও আমাদের সামনে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছিল। এখন সেটা সরে যাচ্ছে। আমরা উন্নতি করছি। এই সিরিজ আরও একটা সুযোগ, প্রতিটি ম্যাচ জেতার। এই সিরিজটা জিততে পারলে, পরবর্তী সব সিরিজের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে।’