সাকিব ফেবারিট বলছেন আফগানিস্তানকে

আইপিএলের সৌজন্যে কদিন আগেও তাঁরা ছিলেন একই দলের সতীর্থ, কিছুদিন পর রশিদ-নবীই হয়ে যাচ্ছেন সাকিবের প্রতিপক্ষ। ছবি: ফেসবুক
আইপিএলের সৌজন্যে কদিন আগেও তাঁরা ছিলেন একই দলের সতীর্থ, কিছুদিন পর রশিদ-নবীই হয়ে যাচ্ছেন সাকিবের প্রতিপক্ষ। ছবি: ফেসবুক
কাল আইপিএলের ফাইনাল খেলে আজ দুপুরে দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। এবার সামনে আফগান-পরীক্ষা। এই সিরিজে কে ফেবারিট? সাকিব কিন্তু নিজেদের এগিয়ে রাখতে চাইলেন না।


প্রায় দুই মাসের আইপিএল-অভিযান শেষ হয়েছে সাকিব আল হাসানের। তবুও বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডারের বিশ্রামের সুযোগ কোথায়? দুয়ারে যে কড়া নাড়ছে আফগানিস্তান সিরিজ। এই সিরিজটা নিয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের প্রত্যাশা কী? ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নয়, আজ দুপুরে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে সাকিব সরাসরিই জানিয়ে দিয়েছেন, এই সিরিজে আফগানরাই ফেবারিট।

টি-টোয়েন্টিতে এমনিতে দুই দলের ব্যবধান কমে আসে। আফগান সিরিজে সেই ব্যবধান যে খুব সামান্যই থাকবে, সেটি না বললেও চলছে। টি-টোয়েন্টিতে যেহেতু ফেবারিট তকমা চলে না, সঙ্গে আরও একটি কারণে সাকিব আফগানিস্তানকেই এই সিরিজে ফেবারিট বলেছেন, ‘টি টোয়েন্টিতে ফেবারিট বা ফেবারিট নয়, এ ধরনের কোনো তকমা থাকে না। যেকোনো দল যেকোনো সময় যে কাউকে হারাতে পারে। যেহেতু আফগানিস্তান আমাদের চেয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে, আমি বলব ওরাই ফেবারিট।’

শুধু র‍্যাঙ্কিংয়ের কারণেই কি আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন সাকিব? আফগানিস্তানের শক্তিশালী বোলিং বিভাগটাও নিশ্চয় তাঁর ভাবনায় থাকছে। বিশেষ করে রশিদ খান! কদিন ধরে আফগান লেগ স্পিনারকে নিয়ে যেন একটু বেশিই আলোচনা হচ্ছে। তা সাকিব নিজে কী ভাবেন তাঁর নতুন আইপিএল সতীর্থকে নিয়ে। খুব কাছ থেকে তো দেখলেন রশিদের বোলিং। সাকিব যেন বিরক্ত, ‘কারা আলোচনা করে? আপনারা প্রশ্ন করলে খেলোয়াড়েরা উত্তর দিচ্ছে, নাকি খেলোয়াড়েরা আলোচনা করছে? যা হোক, ঠিক আছে। সবাই তো ভালো বোলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যারা খেলে, সবাই ভালো বোলার। কেউ ভালো বোলিং করবে, কেউ খারাপ করবে। ভালো ব্যাটসম্যানরা সেটাকে ভালোভাবে সামলাবে, এটাই নিয়ম।’

সাকিব বুঝিয়ে দিলেন শুধু রশিদকে নিয়ে ভাবতে রাজি নন। খানিক পরে যখন আবারও রশিদ প্রসঙ্গ এল, একটু যেন বিরক্তই হলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ‘প্রশ্ন আপনারা করলে আলোচনা হবেই। আমি উত্তর দিলাম না আলোচনাও হলো না!’

মাত্রই আইপিএল থেকে ফিরেছেন। ওয়াংখেড়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে কালকের ফাইনালটা জেতা হয়নি সাকিবের। একটু আক্ষেপ থাকতে পারে তাঁর। তবে সেটির চেয়ে সাকিবের অতৃপ্তি নিজের ব্যাটিংটা নিয়ে। অনেক ম্যাচে থিতু হয়েছেন। ইনিংসটা লম্বা করার আভাস দিয়েছেন। কিন্তু থেমে গেছেন ২৮-৩০ রানে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সেটি অবশ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে মনমতো ব্যাটিং করতে না পারার অতৃপ্তি থেকে গেছে সাকিবের, ‘ভালোই গেছে। হয়তো আরেকটু ভালো হতে পারত। দলের সাফল্যে তৃপ্ত। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও সন্তুষ্ট। একটা অতৃপ্তি আছে সেটা হলো প্রতি ম্যাচেই ভালো শুরুর পরেও রানটা বড় করতে পারিনি।’

এ অতৃপ্তিটুকু বাদ দিলে প্রথমবারের মতো আইপিএলে প্রতিটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আফগানিস্তান সিরিজে কাজে দেবে বলেই জানালেন সাকিব, ‘একই কন্ডিশনে খেলা হবে, অবশ্যই কাজে আসবে। যদিও দেরাদুনে আমরা কখনো ম্যাচ খেলিনি। তবুও আমার মনে হয় একই হবে। ভারতে সাধারণত যে ধরনের থাকে, একই উইকেট হবে। এই অভিজ্ঞতাটা অবশ্যই কাজে আসবে।’