ওই এক গোলেই কিংবদন্তির দলে বেল

বেলের সেই বাইসাইকেল কিকের গোল। ছবি: রয়টার্স
বেলের সেই বাইসাইকেল কিকের গোল। ছবি: রয়টার্স
>চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে জোড়া গোলে নায়ক গ্যারেথ বেল। সাবেক ফরাসি তারকা ক্রিস্টিয়ান কারামবু মনে করেন, বাইসাইকেল কিকে করা প্রথম গোলটি দিয়েই ইতিহাসে ঢুকে গেছেন এই ওয়েলশ তারকা।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের একাদশেই ছিলেন না গ্যারেথ বেল। কিন্তু বদলি নেমে ৬৩ মিনিটে বাইসাইকেল শটে যে গোলটি করলেন, সেটিতে লিভারপুল গোলরক্ষক লরিস কারিয়াসের চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। গোলটি কোচ জিনেদিন জিদানের কাছেও রীতিমতো অবিশ্বাস্য ঠেকছিল। খুশি তো হয়েছিলেনই, অবাকটাই বোধ হয় ঢের বেশি হয়েছিলেন এই ফরাসি কিংবদন্তি। ফ্রান্স দলে জিদানেরই সাবেক সতীর্থ ক্রিস্টিয়ান কারামবুর মতে, চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ওই বাইসাইকেল কিকের গোলটি বেলকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এই একটি গোলেই ইতিহাসে জায়গা করে নেবেন এই ওয়েলশ তারকা। বেল ওই এক গোলেই থেমে থাকেননি, করেছেন জোড়া গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে জোড়া গোল—ইতিহাসে তিনি থাকতেই পারেন।

এথেন্সে বসেই ম্যাচটি দেখেছেন ফ্রান্সের হয়ে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ও ২০০০ সালের ইউরো জেতা সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলার, ‘গ্যারেথ মাঠে নামার আগ পর্যন্ত কিন্তু লিভারপুল ভালো খেলছিল। বেল মাঠে নেমেই ম্যাচের মোড়টা পুরোপুরি ঘুরিয়ে দেন।’

বেলের গোলটি কারমবুকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে জিদানের মতো কিংবদন্তির পাশে ওয়েলশ ফুটবলারকে বসিয়ে দিতেও দ্বিধা নেই তাঁর, ‘পুরো প্রশংসাই ওর প্রাপ্য। এই গোলে বেল ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। ২০০২ সালে জিদান যেমন নিয়েছিল।’

কারমবু যেমন বেলে মুগ্ধ, ঠিক তেমনি লিভারপুল গোলরক্ষক কারিয়াসের প্রতি সমব্যথী সাবেক স্পেন ফুটবলার ফার্নান্দো মরিয়েন্তেস। তাঁর মতে, খেলার মাঠে এমন ভুল হতেই পারে। ভুল দুটি হওয়ার আগে কারিয়াসই দুর্দান্ত গোলকিপিং করছিলেন, ‘ওর জন্য এটা খুব কঠিন সময়। লিভারপুল গোটা দলেরই উচিত ওর পাশে দাঁড়ানো। ভুল করার আগে কিন্তু সে গোলকিপিংটা ভালোই করেছে।’

মরিয়েন্তেসের আক্ষেপ মোহাম্মদ সালাহকে নিয়ে। মিসরীয় তারকার মাঠ থেকে উঠে যাওয়া ম্যাচে বড় প্রভাব রেখেছে বলে অভিমত তাঁর, ‘সালাহর উঠে যাওয়াটা ম্যাচে লিভারপুলের জন্য খুব কঠিন একটা মুহূর্ত। সালাহকে এত তাড়াতাড়ি মাঠ থেকে উঠে যেতে দেখে খুবই খারাপ লেগেছে।’