সালাহর চোট পুতিনের ষড়যন্ত্রে!

পুতিনের এই ছবি দেখিয়ে মজা করা হচ্ছে টুইটারে। সংগৃহীত ছবি
পুতিনের এই ছবি দেখিয়ে মজা করা হচ্ছে টুইটারে। সংগৃহীত ছবি

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল হয়তো শেষ হয়েছে। তবে শোরগোল এখনো কমেনি, ম্যাচের ফল নিয়ে নয়, আলোচনাটা সালাহর চোট নিয়ে। লিভারপুলের এই ফরোয়ার্ডের বিশ্বকাপটাই হয়তো অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছেন সার্জিও রামোস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তো রীতিমতো দাবি করা হচ্ছে, আগ্রাসী এই ডিফেন্ডার ইচ্ছে করেই চোটে ফেলেছেন সালাহকে। কেউ রামোসের শাস্তিও দাবি করছেন।

তবে এসব অভিযোগও ম্লান হয়ে যাচ্ছে নতুন গুঞ্জনে। অনেকেই আঙুল তুলেছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিকে! ভাবছেন, এসবের মাঝে পুতিন কোত্থেকে এলেন?

বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘এ’–তে রাশিয়ার শক্ত প্রতিপক্ষ মিসর। টুইটারে তাই অনেকেই বলছেন, রাশিয়াকে জেতানোর জন্যই মিসরের ঘাগু ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহর এই দুরবস্থা করেছেন রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস। আর সেটা হয়েছে পুতিনের নির্দেশেই!

বিভিন্ন টুইটে তোলা দাবি। সংগৃহীত ছবি
বিভিন্ন টুইটে তোলা দাবি। সংগৃহীত ছবি

পুরো মৌসুমে ৪৪ গোল, ফাইনালে তাই লিভারপুল ভক্তদের সব আশা ছিল সালাহকে ঘিরে। নিরপেক্ষ দর্শকের চোখও ছিল তাঁর দিকেই। লিভারপুল সাপোর্টারদের জন্য দুর্ভাগ্য, প্রথমার্ধের মাত্র ২৯ মিনিটে কাঁধের চোট নিয়ে অশ্রুসজল চোখে মাঠ ছাড়তে হয় সালাহকে। সালাহর এই করুণ বিদায়ের পর যেন পুরো লিভারপুলই অনেকটা মুষড়ে পড়েছিল। শেষমেশ ৩-১ গোলে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লিভারপুল।

তবে পুরো ব্যাপারটাই মজা করে শুরু করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবেই রামোসকে কম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না। সালাহ হয়তো নিজেও ভাবতে পারেননি তাঁর এই চোট এভাবে তোলপাড় সৃষ্টি করবে সবার মাঝে। এক হাজার দুই হাজার নয়, ইতিমধ্যেই রামোসের শাস্তির জন্য ফিফার কাছে তিন লাখ আবেদন জমা পড়েছে। রামোস ইচ্ছাকৃতভাবেই সালাহর হাত ধরে রেখেছিলেন—এমনটাই ধারণা ভক্তদের।