মেসি বিশ্বকাপ চান, বার্সায় জেতা ট্রফি দিয়ে

লিওনেল মেসি
লিওনেল মেসি
>

বার্সেলোনার হয়ে জিতেছেন সম্ভব সব শিরোপা। কিন্তু আর্জেন্টিনার জার্সিতে কিছুই জেতা হয়নি তাঁর। ২০১৪-তে বিশ্বজয়ের খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি। জাতীয় দলের জার্সিতে কিছু জিততে মেসি এতটাই মরিয়া যে পারলে বার্সায় জেতা সব ট্রফি দিয়ে দেন।

বলতে গেলে একেবারে খাদের কিনারা থেকে উঠে এসে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব পেরিয়েছে আর্জেন্টিনা। শেষ ম্যাচে লিওনেল মেসির অসাধারণ হ্যাটট্রিক রাশিয়ার টিকিট এনে দিয়েছে তাদের। এমন একটা দলকে নিয়ে কি বিশ্বকাপে বাজি ধরা যায়?

অন্য কোনো দল হলে হয়তো যেত না। কিন্তু লিওনেল মেসি নামের একজন আছেন বলেই এরপরও বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা অন্যতম ফেবারিট। তবে শিরোপার দাবিদার হিসেবে আরও যে কটা দলের নাম আসে, তাদের চেয়ে নিজেদের একটু পিছিয়ে রাখছেন খোদ মেসিই।

তো শিরোপার দাবিদার বললে এবার কোন দলগুলোর নাম আসে? অবশ্যই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, সবচেয়ে বেশি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল, সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও ফ্রান্স। শক্তির বিচারে আর্জেন্টিনাকে ঠিক এই দলগুলোর কাতারে রাখতে রাজি নন মেসি। আর্জেন্টাইন একটি টেলিভিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব, এই বার্তা আমরা দিতে পারি না। কারণ বাস্তবতা এমন নয়। আমরা সেরা নই। এই বাস্তবতা মাথায় রেখেই আমাদের স্বপ্নের পেছনে ছুটতে হবে।’

তাহলে কি বিশ্বকাপের আগেই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন মেসিরা? ব্যাপারটা এ রকম নয়। বরং নিজেদের সামর্থ্য যেটুকু, সেটা দিয়েই সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে চান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, ‘স্বপ্ন দেখার মতো খেলোয়াড় আছে আমাদের। দলটার ওপর আমার দারুণ আস্থা আছে। আমরা খুব ভালোভাবে অনুশীলন করছি।’

বার্সেলোনার জার্সিতে ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা জেতা মেসি জাতীয় দলের হয়ে বড় কোনো টুর্নামেন্টই জিততে পারেননি কখনো। আর্জেন্টিনার হয়ে একটা বিশ্বকাপ ট্রফির জন্য মেসি যে কতটা উন্মুখ, বোঝা গেল তাঁর কথা শুনেই, ‘সম্ভব হলে আমি বার্সেলোনায় জেতা একটা ট্রফির বিনিময়ে জাতীয় দলের হয়ে একটি ট্রফি নিতে চাইতাম। আর্জেন্টিনার হয়ে একটা শিরোপা জয় অনন্য ব্যাপার।’

সেই শিরোপা-জয়ের মিশনে এবার ‘ডি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া। দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গ্রুপটা খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা নয় আর্জেন্টিনার জন্য। তবে তাই বলে কোনো দলকেই হালকা করে দেখতে রাজি নন মেসি, ‘সর্বশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আইসল্যান্ড দেখিয়েছে, তারা যে কারও জন্যই কঠিন একটা দল। ক্রোয়েশিয়ার মাঝ মাঠ খুবই ভালো। প্রায় স্পেনের কাছাকাছি। আর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তো সব সময়ই আমাদের ভুগতে হয়।’

ভালোভাবে গ্রুপ পর্ব পেরোনো গেলে পরের রাউন্ডের জন্য আত্মবিশ্বাসটা খুব কাজে দেবে বলে মনে করেন মেসি। আর সে কারণেই প্রথম ম্যাচটা জয় দিয়ে শুরু করতে চান বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড, ‘আমাদের ম্যাচ ধরে এগোতে হবে। জয় দিয়ে শুরু করাটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা আমাদের একটু সুস্থির করে দেবে, ছন্দ এনে দেবে।’

আর একবার ছন্দ পেয়ে গেলে যেকোনো কিছুই তো হতে পারে।