হাইতির বিপক্ষে ম্যাচকে সহজভাবে দেখছে না আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টিনার অনুশীলনে কোচ সাম্পাওলি। ছবি: এএফপি
আর্জেন্টিনার অনুশীলনে কোচ সাম্পাওলি। ছবি: এএফপি
>বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর পাঁচটায় বুয়েনস এইরেসের লা বোম্বেনেরো স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে হাইতির মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এই ম্যাচে খেলোয়াড়দের পরখ করে দেখবেন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি

শক্তির নিক্তিতে দল দুটির দুই মেরুতে অবস্থান। সাক্ষ্য দিচ্ছে ফিফা র‍্যাঙ্কিং। আর্জেন্টিনা পাঁচে আর হাইতি তাঁদের চেয়ে ১০৩ ধাপ পিছিয়ে এক শ আটে। এমন একটা দলের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে আর্জেন্টিনার এত ভাবনার কী আছে, সেটাও আবার প্রীতি ম্যাচে!
আর্জেন্টিনার দৃষ্টিকোণ থেকে এটা শুধু নামেই প্রীতি ম্যাচ। আসলে তো বিশ্বকাপের ‘ড্রেস রিহার্সাল’। রাশিয়ায় বিশ্বকাপের বাঁশি বেজে ওঠার আগে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে আর্জেন্টিনা। হাইতি ও ইসরায়েলের বিপক্ষে এই দুই প্রীতি ম্যাচে শিষ্যদের পরখ করে দেখবেন আর্জেন্টিনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। তারপর হয়তো বিশ্বকাপের একাদশ ঠিক করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।
রাশিয়া বিশ্বকাপে ২৩ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। হাইতির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটা সাম্পাওলি কত গুরুত্বের চোখে দেখছেন সেটা বোঝা যায়, তাঁর ছয়জন বদলি খেলোয়াড় মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত থেকে। বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর ৫টায় বুয়েনস এইরেসের লা বোম্বেনেরো স্টেডিয়ামে হাইতির মুখোমুখি হবেন সাম্পাওলির শিষ্যরা।
প্রীতি ম্যাচের একটা দগদগে ঘা নিয়েই হাইতির মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। গত মার্চে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল লাতিন আমেরিকান দলটি। মেসিদের সেই হারের ঘা এখনো শুকায়নি। সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, তাই কালকের প্রীতি ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে সেই হারের ক্ষত শুকানোর দায়বদ্ধতাও রয়েছে মেসি-দিবালাদের। এ ছাড়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতি তো থাকছেই।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হাইতির বিপক্ষে প্রথম একাদশ ঠিক করে ফেলেছেন সাম্পাওলি। সার্জিও রোমেরোর অনুপস্থিতিতে গোলপোস্টে থাকছেন উইলি কাবায়েরো। আক্রমণভাগে থাকছেন ম্যানুয়েল লানজিনি, লিওনেল মেসি, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া এবং সামনে গঞ্জালো হিগুয়েইন। চোট থেকে সবে সুস্থ হয়ে ওঠায় সার্জিও আগুয়েরোকে হয়তো বিশ্রাম দিতে পারেন সাম্পাওলি। মেসি-ডি মারিয়াদের পেছনে থাকবেন হাভিয়ের মাচেরানো ও লো সেলসো। আর রক্ষণভাগে তাগলিয়াফিকো, ফাজিও, ওটামেন্ডি ও আনসালদি।
এ ছাড়া ছয়জন বদলি খেলোয়াড় মাঠে নামাবেন সাম্পাওলি। তার বেশিও করতে পারেন, যদিও প্রীতি ম্যাচে ছয়জনের বেশি বদলি খেলোয়াড়কে মাঠে নামানোর নিয়ম নেই। বোঝাই যাচ্ছে, বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বেশির ভাগ খেলোয়াড়কে পরখ করে দেখতে চান সাম্পাওলি। হাইতির বিপক্ষে এর আগে দুবার মুখোমুখি হয়ে আর্জেন্টিনা সহজ জয় পেলেও সাম্পাওলি এই ম্যাচটা গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন। সাম্প্রতিক সময়ে জাপানের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করা ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশ হাইতি।
তবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হাইতি কিন্তু বরাবরই অসহায়। ১৯৭৪ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়ে ৪-১ গোলে হেরেছিল দলটি। ৩৬ বছর পর ২০১০ সালে প্রীতি ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়ে আবারও ৪ গোল হজম করেছিল হাইতি। কিন্তু সেই হাইতি আর এই হাইতির মধ্যে যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে, সাম্পাওলি তা ভালোই জানেন। আর সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ জয়ের চাপ, তাই প্রস্তুতিতে কোনো ফাঁক রাখতে চান না আর্জেন্টিনা কোচ।