রাইফেলের উলকি আঁকিয়ে বিপাকে স্টার্লিং

পায়ের এই উলকিই সমালোচনার মুখে ফেলে দিয়েছে স্টার্লিংকে। সংগৃহীত ছবি
পায়ের এই উলকিই সমালোচনার মুখে ফেলে দিয়েছে স্টার্লিংকে। সংগৃহীত ছবি
>ডান পায়ে এঁকেছেন এম-১৬ রাইফেলের ট্যাটু। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাহিম স্টার্লিং

এখন ফুটবলারদের শরীর মানেই যেন চিত্রকলার আসর। শিল্পীরা যেন ছবি আঁকতে গিয়ে রং-তুলি সবই এনেছিলেন, ক্যানভাস আনতে ভুলে যাওয়ায় ফুটবলারদের বেছে নিয়েছেন। ফ্যাশনের অংশ হিসেবেই নিজের পায়ে একটি ‘ট্যাটু’ করিয়েছিলেন রাহিম স্টার্লিং। ম্যানচেস্টার সিটি ও ইংলিশ তারকাকে এখন সেই উলকির জন্য দাঁড়াতে হচ্ছে কাঠগড়ায়!

শরীরে উলকি এঁকে এর আগে কেউ এমন সমালোচনার মুখে পড়েছেন কি না, এ নিয়ে গবেষণা হতে পারে। তবে স্টার্লিংকে জবাবদিহি করার কারণটা বোঝা যাচ্ছে সহজেই। শরীরে এম-১৬ রাইফেলের ছবি আঁকবেন আপনি আর কেউ তার কারণ জিজ্ঞাসা করবে না, সেটি কীভাবে হয়! স্টার্লিংকেও তাই এখন ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে, কেন পায়ে এম-১৬ অ্যাসল্ট রাইফেলের ছবি আঁকিয়েছেন।

স্টার্লিংয়ের পায়ের এই উলকি প্রথম সবার নজরে আসে সেন্ট জর্জেস পার্কে ইংলিশ দলের অনুশীলনের সময়। ডান হাঁটুর নিচে এম-১৬ অ্যাসল্ট রাইফেলের ছবিটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান লুসি কোপে নামের এক নারী। ২০১২ সালের জুলাই লন্ডনের কেন্দ্রে একটি নাইট ক্লাবের বাইরে বন্দুকধারীর গুলিতে তাঁর ছেলে নিহত হয়েছিল। সে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল একটি এম-১৬ রাইফেল। লুসি স্টার্লিংয়ের ট্যাটু সম্পর্কে বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের একজন খেলোয়াড়ের শরীরে এমন উলকি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।’

ব্রিটিশ পত্রিকা সানের কাছে উলকি না তুললে স্টার্লিংকে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন লুসি, ‘আমরা চাই স্টার্লিং ট্যাটুটি সরিয়ে ফেলুক। ওই ট্যাটুর ওপর অন্য একটা ট্যাটু করুক। সে যদি ট্যাটু ঢেকে ফেলতে না চায়, তাহলে তাঁকে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দেওয়া উচিত। স্টার্লিং সবার জন্য উদাহরণ। তাঁকে সবাই অনুসরণ করে। তাঁর শরীরে এ ধরনের অগ্রহণযোগ্য ট্যাটু কেন থাকবে!’

স্টার্লি নিজে অবশ্য এম-১৬ রাইফেলের এই উলকিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন, ‘দেখুন, এর একটি গভীর অর্থ আছে। আমিও বন্দুকের ভুক্তভোগী। আমার বয়স যখন মাত্র দুই, তখন বন্দুকের গুলিতে আমার বাবা মারা যান। জীবনে আমি কোনো দিন বন্দুক হাতে নিয়ে দেখিনি। ডান পায়ে এটি করার কারণ, আমি ফুটবল খেলায় ডান পা দিয়ে শট নিই।’