পেরেজকেও বোকা বানিয়ে দিয়েছেন জিদান

সংবাদ সম্মেলনেও ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে পারেননি পেরেজ। ছবি: রয়টার্স
সংবাদ সম্মেলনেও ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে পারেননি পেরেজ। ছবি: রয়টার্স

জিদানের হঠাৎ বিদায় সবাইকেই অবাক করেছে। বিস্ময় কাটাতে সময় লাগছে অনেকের। রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়-সমর্থক তো বটেই, অবাক হয়েছেন ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজও। জিনেদিন জিদান যেখানে কোচ হিসেবে দলকে নিয়ে অসাধারণ তিন মৌসুম কাটালেন, সেখানে বিদায়ের কথা ভাবা কল্পনাতীত ছিল। টানা তিন বছর রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো কোচের হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা মেনে নিতে পারেনি কেউই। 

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনেও বিস্ময় লুকাননি পেরেজ, ‘যা ভাবছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর এ রকম কিছু শোনা আসলেই অপ্রত্যাশিত। আমার জন্য খুবই দুঃখের দিন। এমনকি প্রতিটি মাদ্রিদ-ভক্তের জন্য, প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্যও। আমি তাকে খেলোয়াড় হিসেবে চেয়েছিলাম, এরপর একজন কোচ হিসেবে। আমি তাকে অনেক দিন পর্যন্ত কোচ হিসেবে রাখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে।’

‘গতকাল সিদ্ধান্ত শোনার পর আমি অনেক বড় ধাক্কা খেয়েছি। আমি তাকে থাকার জন্য বলতে পারতাম, কিন্তু আমি জানি সে কী রকম। আমি তার জন্য সর্বোচ্চ যা করতে পারি, তা হলো আমার সবটুকু ভালোবাসা দিতে পারি। আর মনে করিয়ে দিতে পারি, মাদ্রিদ তার আজীবনের ঘর হয়ে থাকবে।’

রাফায়েল বেনিতেজের ভঙ্গুর রিয়াল মাদ্রিদ যখন ডুবন্ত, ঠিক তখনই জিনেদিন জিদানের হাতে তুলে দেওয়া হয় রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব নিয়েই আড়াই বছরে মোট ৯টি শিরোপা যোগ করেছেন ক্লাবের কেবিনেটে। পেরেজ তাই জিদানের সিদ্ধান্ত বদলানোর চেষ্টা করেছেন, ‘কেউই এ ধরনের খবর প্রত্যাশা করে না। আমি খবরটা শোনার পর তার বাসায় যাই। সে জানায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে পুরোপুরি প্রস্তুত। তার রিয়ালের প্রতি ভালোবাসা, প্যাশন এবং যা কিছু করেছে, তার জন্য ধন্যবাদ। রিয়ালের জন্য তার ভালোবাসা একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

‘এটা কোনো বিদায়বার্তা না। আবার দেখা হবে ধরনের একটা বিদায়। সে ফিরে আসবে, তা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। তবে তার যদি বিশ্রামের দরকার হয়, সে নিতে পারে।’
হঠাৎ কোচ ছাঁটাইয়ের জন্য ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের দুর্নাম আছে। লিগ জেতার পর দেল বস্ককে বিদায় দেওয়া। ২০০৩ থেকে ২০০৬—তিন বছরে পাঁচজন কোচকে ছাঁটাই করে সবাইকে অবাক করে দেওয়া পেরেজকে জিদানই উল্টো অবাক করলেন।