মেসি-নেইমারদের এক গোলেই মিলবে ১০ হাজার শিশুর খাবার

মেসি-নেইমারের এক গোল হাসি ফোটাবে হাজার হাজার শিশুর মুখে। ফাইল ছবি
মেসি-নেইমারের এক গোল হাসি ফোটাবে হাজার হাজার শিশুর মুখে। ফাইল ছবি

প্রতি মৌসুমে কত কত গোল করেন মেসি ও নেইমার। সে গোলের মূল্য হিসেবে তাঁদের দল পায় জয়। সমর্থকেরা পায় অনাবিল আনন্দ। কিন্তু সেই একেকটি গোল যদি রূপ নেয় খাদ্যে; আর সে খাদ্যে যদি ক্ষুধা মেটে হাজার হাজার বুভুক্ষু মানুষের? মেসি-নেইমাররা এখন এমন অনুপ্রেরণা নিয়েই খেলতে নামবেন মাঠে।

লাতিন আমেরিকা অঞ্চলটা মূলত পরিচিত ফুটবলের জন্যই। ফুটবল বাদে সামগ্রিকভাবে চিন্তা করলে দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার দেশগুলো প্রতিনিয়ত লড়ছে দারিদ্র্যের সঙ্গে। অনেক শিশুই জানে না পরের খাবারটি সময়মতো জুটবে কি না। তাই লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে খাদ্য দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে মাস্টারকার্ড। গতকাল শুরু হয়েছে এ প্রকল্প। ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মেসি ও নেইমার যতবার আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টে গোল করবেন, ততবার ১০ হাজার শিশুর জন্য মাস্টারকার্ড খাদ্য পাঠাবে জাতিসংঘের বিশ্বখাদ্য প্রকল্পের কাছে।

মেসি এ প্রকল্পে অংশ নিতে পেরে তৃপ্ত, ‘আমি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আসলেই অনেক গর্বিত। এই ছোট্ট কাজটা হাজার হাজার শিশুর মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাবে।’ নেইমারও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অনেক খুশি, ‘আমরা চাই এই এলাকার প্রতিটি লোকের হাতে এক থালা খাবার, আর বুকভর্তি আশা থাকুক। আমরা লাতিন আমেরিকানরা বড় কোনো বিষয়ে একত্র হতে জানি। আমরা একসঙ্গে ক্ষুধার বিপক্ষে লড়ব।’

মাস্টারকার্ডের আঞ্চলিক মুখপাত্র অ্যানা ফেরেলের মতে, এই কাজটি এ অঞ্চলের মানুষের জন্য অনেক উপকারী হবে। প্রায় ৪ কোটির মতো মানুষ লাতিন আমেরিকা আর ক্যারিবিয়ান অঞ্চল মিলে ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পাচ্ছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু। দারিদ্র্য দূর করতে এটি একটি পদক্ষেপমাত্র। মাস্টারকার্ড জানিয়েছে, এর মাঝেই ৩ লাখ খাবার তারা দিয়েছে এ প্রকল্পে।