মুমিনুল টেস্টে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন

একা একা চালিয়ে যাচ্ছেন অনুশীলন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের অপেক্ষায় মুমিনুল। ছবি: প্রথম আলো
একা একা চালিয়ে যাচ্ছেন অনুশীলন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের অপেক্ষায় মুমিনুল। ছবি: প্রথম আলো
>সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলে তাঁকে এখন দেখা যায় না। বাংলাদেশ যখন দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার অপেক্ষায়, মুমিনুল হকের অপেক্ষা তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের। ক্যারিবীয় সফরের শুরুতেই থাকছে টেস্ট সিরিজ। মুমিনুলের ভাবনা এখন এ সিরিজটি নিয়েই।

বাংলাদেশ এখন ব্যস্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে। জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়েও মুমিনুল হকের অবশ্য সুযোগ নেই এই সিরিজটা নিয়ে ভাবার। তিনি যে ‘টেস্ট ব্যাটসম্যান’! বাংলাদেশ যখন টেস্ট খেলে, তিনি তখনই শুধু প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন। আর বাংলাদেশ যেহেতু লম্বা বিরতিতে টেস্ট খেলে, মুমিনুলও লম্বা বিরতিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দৃশ্যমান হন! বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে গত ফেব্রুয়ারিতে, মুমিনুলও তা-ই।

মুমিনুলের দৃশ্যমান হওয়ার সময় প্রায় হয়ে আসছে। এ মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। সফরের শুরুতেই দুই টেস্টের সিরিজ। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংস্করণের কঠিন পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে মুমিনুলকে লাগবেই। এবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে কী স্বপ্ন আঁকছেন বাঁ-হাতি টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান? ‘কোনো সিরিজের আগে তেমন লক্ষ্য থাকে না। এখন চেষ্টা করি দলে যতটা অবদান রাখা যায়। সেটা ৫০, ৭০ বা ৮০ শতাংশ হোক। দিনে দিনে এটা বাড়ানোর চেষ্টা করছি’—আজ বিসিবি একাডেমি ভবনের সামনে সংবাদমাধ্যমকে বলছিলেন মুমিনুল।

গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ছিলেন মুমিনুল। ২০১৪ সালে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দুই টেস্টেই পেয়েছিলেন ফিফটি। কন্ডিশন একেবারে তাই অচেনা নয় তাঁর কাছে, ‘আগেও সেখানে খেলেছি। জাতীয় দলের আগে “এ” দলের হয়েও খেলেছি ওখানে। আমার মনে হয় একটু বাউন্স থাকে। এটা নিয়ে আমরা অনুশীলন করছি। পেস বোলারদের বোলিং বেশি খেলছি। ওখানে গিয়ে ১০ থেকে ১২ দিন সময় পাব। আমার মনে হয় ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিতে পারব।’

কদিন আগে টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে আছে বলেই নয়, এবার উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশকে মুমিনুল এগিয়ে রাখছেন অন্য কারণে, ‘আমার কাছে মনে হয় টেস্টে আমরা একটু এগিয়ে আছি। আমাদের পাঁচ-ছয়জন সিনিয়র খেলোয়াড় খেলছেন অনেক দিন ধরে। অনেক ভালো খেলছেন। ওদের তুলনায় আমরা অনেক ভালো দল আমার মনে হয়।’

টেস্টে যদি মুমিনুল ১০০ স্ট্রাইক রেটেও ব্যাটিং করেন, তবু তাঁকে বিবেচনা করা হয় না সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। তাঁর বিচরণ সীমাবদ্ধ শুধু সাদা পোশাকে—মুমিনুলকে সেই পুরোনো প্রশ্নটা আবারও করা হয়। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে নিজেকে প্রমাণের আর কী বাকি তাঁর? ‘আমার মধ্যে কোনো দ্বিধা কাজ করে না এ নিয়ে। যেকোনো সংস্করণে আপনি ভালো খেলবেন...এ সময় ধৈর্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি সেই ধৈর্য ধরছি। ধৈর্য রাখতে হবে। আগেও বলেছি, যদি টেস্ট ভালো খেলে থাকি, তাহলে আমার সবখানে সুযোগ থাকবে।’