দেরাদুনে নিদারুণ কষ্ট

দেরাদুনের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধা বড় অপ্রতুল। ছবি: প্রথম আলো
দেরাদুনের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সুযোগ-সুবিধা বড় অপ্রতুল। ছবি: প্রথম আলো
>প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হচ্ছে দেরাদুনের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম অথচ সুযোগ-সুবিধায় যোজন যোজন পিছিয়ে!

এত ছোট একটা শহরে এত বড় মাপের আন্তর্জাতিক ম্যাচ করতে গেলে যা যা প্রয়োজন, তার ছিটেফোঁটাও দেরাদুনে দেখা গেল না। অথচ স্টেডিয়ামটা সত্যিই আন্তর্জাতিক স্তরের।

শুধু স্টেডিয়াম থাকলেই তো হয় না। দরকার সুষ্ঠু পরিচালনার দক্ষতা। সে জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞতার। দুঃখের বিষয় সেই অভিজ্ঞতা না আছে আফগানদের, না আছে উত্তরাখন্ড প্রশাসনের। থাকলে প্রেসবক্সে এমন হাহাকার দেখা দিত না। আজকের দুনিয়ায় যেকোনো প্রেসবক্সে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ইন্টারনেট-ব্যবস্থার। দেরাদুনের স্টেডিয়ামে তার আকাল। কানেকটিভিটি খারাপ ও ক্ষণস্থায়ী। শরতের আকাশে মেঘ-সূর্যের লুকোচুরির মতো। ম্যাচ সম্প্রচারের দায়িত্ব যাদের, প্রেসবক্সের জন্য তাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আয়োজকদের পক্ষ থেকে রাখা হয়নি কোনো স্কোরারকেও। মাঠের মধ্যে যে দুটো জায়ান্ট টিভি স্ক্রিন রাখা হয়েছে, তার সম্প্রচারও সীমিত। না আছে খাদ্য, না আছে পানীয়। কোনো স্টলও রাখা হয়নি, যা অন্তত প্রয়োজনে কাজে দিতে পারে। আয়োজকদের আরও ভাবনাচিন্তা করার আবশ্যকতা রয়েছে বোঝা গেল।

একই অবস্থা রাজ্য সরকারেরও। দেরাদুন শহরটা ছোট এবং ঘিঞ্জি। রাস্তাও অপরিসর। স্টেডিয়াম যেখানে তৈরি, সেটা প্রায় পাহাড়ি জঙ্গল। শহর থেকে বহুদূর। খেলার দরুন শহরের সব রাস্তা বিকেল থেকেই একমুখী। বিপত্তি সেখানেই। জায়গায় জায়গায় অনাবশ্যকভাবে পুলিশ রাস্তা আটকে দিয়েছে। ফলে দীর্ঘ পথ দর্শকদের পাড়ি দিতে হয়েছে হেঁটে। সাংবাদিকেরাও তা থেকে ছাড় পাননি। অন্তত তিন থেকে চার কিলোমিটার হেঁটে আসতে হয়েছে সবাইকে। কেন গাড়ি ঢুকতে মানা? পুলিশের ব্যাখ্যা, সরকারি হুকুম। অথচ জঙ্গল কেটে কার পার্কিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে দিব্যি।

বেশ বোঝা যাচ্ছে, বাকি দুই দিনেও এমনই ভোগান্তি কপালে লেখা রয়েছে!