জাতীয় সংগীতকে কেউ অবমাননা করেননি: মাহমুদউল্লাহ

কাল জাতীয় সংগীতের সময় জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছেন কি না, এ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। ছবি: ফেসবুক
কাল জাতীয় সংগীতের সময় জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছেন কি না, এ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। ছবি: ফেসবুক

এমনিতে আফগানিস্তানের কাছে পরাজয় মেনে নিতে পারে না সমর্থকদের অনেকে। এমন হারের পর প্রশ্ন ওঠে অনেক। তবে শুধু ম্যাচ নয়, ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের নিবেদন নিয়েও একটি বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের সময় খেলোয়াড়দের কেউ কেউ যথেষ্ট সম্মান দেখিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে। এরই ব্যাখ্যা দিলেন মাহমুদউল্লাহ।

জাতীয় দলের সিনিয়র এই ব্যাটসম্যান তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‌‘রোববারের প্রথম টি-টোয়েন্টি টিভিতে দেখেছেন, এমন সমর্থকদের কেউ কেউ হয়তো ভুল বুঝেছেন। দুই দলের জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় বাংলাদেশের দলের কজন খেলোয়াড়ের মুখে বিভ্রান্তির ছায়া দেখে এই ভুল-বোঝাবুঝি। সত্যিটা হলো, আফগানিস্তানের জাতীয় সংগীত মাঠ থেকে ঠিকমতো শোনা গেলেও কোনো কারণে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত শোনা যাচ্ছিল না। খেলোয়াড়েরা অপেক্ষা করছিল কখন জাতীয় সংগীত শুরু হবে। ততক্ষণে আসলে জাতীয় সংগীত শুরু হয়ে গেছে, টিভিতে দর্শকেরা শুনতে পাচ্ছিল। কিন্তু আমরা খেলোয়াড়েরা তা শুনতে পাচ্ছিলাম না।’

কাল ম্যাচ শুরুর আগেই সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ প্রশ্ন করেন, জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা জাতীয় সংগীতের সময় যথেষ্ট ‘সিরিয়াস’ ছিল না। ম্যাচ হারের পর এ নিয়ে সমালোচনা আরও তীব্র হয়। তবে আজ মাহমুদউল্লাহ বিষয়টি পরিষ্কার করলেন।

এমনিতে ভারতের দেরাদুনকে চলমান এই সিরিজের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাংবাদিকেরাও প্রশ্ন তুলেছেন। এর আগে এখানে কখনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রেসবক্সে যে ন্যূনতম সুবিধাগুলো থাকে, তার অনেক কিছুই প্রেসবক্সে নেই। এমনকি প্রেসবক্সে অফিশিয়াল স্কোরারও নেই। সাংবাদিকদের দুই দলের একাদশ বা স্কোর সরবরাহ করা হয় না। ম্যাচ পূর্ব ও পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনগুলো বিশৃঙ্খল হচ্ছে। অব্যবস্থাপনার চিত্র সবখানে।

মাহমুদউল্লাহর দাবি অগ্রাহ্য করার উপায়ও তাই নেই।