মাঠে হেঁটে হেঁটে খেলার সমালোচনার জবাব দিলেন পগবা

সমর্থকদের প্রতি চটেছেন পগবা। ছবি: এএফপি
সমর্থকদের প্রতি চটেছেন পগবা। ছবি: এএফপি
>বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়ে বছর দু–এক আগে জুভেন্টাস থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এসেছিলেন ফ্রান্সের মিডফিল্ডার পল পগবা। কিন্তু এক সময়ের  বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হলেও তাঁর খেলায় সেই বিশ্বসেরার ছাপ পাওয়া যায় কদাচিৎ। ইতালির বিপক্ষে সাম্প্রতিক প্রীতি ম্যাচে নিজের সমর্থকদের কাছ থেকে দুয়ো শোনা পগবা এবার ক্ষিপ্ত হয়ে সমালোচকদের এক হাত নিয়েছেন

ট্রান্সফারের বিশ্ব রেকর্ড (৮৯ মিলিয়ন পাউন্ড) গড়ে দুই বছর আগে জুভেন্টাস থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এসেছিলে পল পগবা। পরে সেই রেকর্ড ভাঙলেও পগবার প্রতি ফরাসিদের আশার প্রদীপ নেভেনি। সবাই ভেবেছিল, ২৫ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ফ্রান্স দলে জিনেদিন জিদানের যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে উঠবেন। কিন্তু এই দুই বছরে সমর্থকদের ভাবনার প্রতিফলনটা পগবা মাঠে দেখাতে পারেননি। উল্টো সমর্থকদের দুয়োর শিকার হতে হচ্ছে।
কিছুদিন আগে ইতালি-ফ্রান্স প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম যখন পগবাকে মাঠ থেকে তুলে নিচ্ছিলেন, তখন অনেক ফরাসি সমর্থক তাঁকে উদ্দেশ্য করে দুয়োধ্বনি দেয়। সমালোচকদের মতে, পগবা মাঠে দায়িত্ব নিয়ে দৌড়ে দৌড়ে খেলেন না, দল বিপদে থাকলেও তাঁকে গদাই-লস্করি চালে খেলতে দেখা যায়। আর এতেই সমালোচকদের প্রতি খেপেছেন পগবা।
ইউনাইটেড তারকা ‘ফ্রান্স ফুটবল’ সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি আজকে যেভাবে খেলি, সব সময়ে সেভাবেই খেলে এসেছি। যখন আমি কোনো কিছু জিতেছি, এভাবেই জিতেছি।’ পগবা এখানেই থামেননি। লিওনেল মেসির উদাহরণ টেনে তাঁর কড়া জবাব, ‘মেসি যদি মাঠের মধ্যে হেঁটে হেঁটে খেলে, কেউ কি কিছু বলবে? বলবে না। মেসি তিন গোল করলে কেউ কি বলতে আসবে, মেসি তো হেঁটে হেঁটে খেলছিল! ঠিক একইভাবে কেউ আমাকেও বলতে পারেন না, আমার কীভাবে খেলা উচিত!’
পগবা সমর্থকদের প্রতিও ক্ষিপ্ত। তাঁদের উদ্দেশেও তোপ দেগেছেন এই ফুটবলার, ‘সবাইকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়, সবাই আমাকে ভালোবাসবে—এটাও সম্ভব নয়। কারণ এই বিশ্বে কোনো কিছুই ত্রুটিহীন নয়। আমি ফুটবল খেলি, আমি যা পছন্দ করি, আমি সেটাই করছি। আমার আপনজন যারা আছে, তারা আমাকে পছন্দ করে, আর ওটাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ!’
রাশিয়া বিশ্বকাপে পগবাদের প্রথম ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ১৬ জুন।