বাংলাদেশের নতুন কোচ রোডস: বিসিবি সভাপতি

>বাংলাদেশের নতুন কোচ হিসেবে স্টিভ রোডসের নাম ঘোষণা করলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন তিনি

আট মাস পর জাহাজের হাল ধরার নাবিকের খোঁজ পাওয়া গেল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নতুন কোচ হতে যাচ্ছেন স্টিভ রোডস। আজ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, ৫৪ বছর বয়সী এই ইংলিশকেই কোচ হিসেবে দায়িত্ব চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন তিনি। 

রোডসের এটাই কোনো জাতীয় দলের প্রথম দায়িত্ব নেওয়া। এর আগে ইংলিশ কাউন্টি দল উস্টারশায়ারের হয়ে কাজ করে নজর কেড়েছিলেন সাবেক এই টেস্ট খেলোয়াড়। মাঝারি মানের দলকে সাফল্য এনে দেওয়ারও সুখ্যাতি আছে। যদিও তাঁর সব অভিজ্ঞতা ইংলিশ কাউন্টি ঘিরে। উপমহাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আগে কাজ করেননি। তবে আপাতত এটাই বাংলাদেশের বেশি কাজে আসতে পারে। ২০১৯ বিশ্বকাপ তো ইংল্যান্ডেই। রোডসের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশকে পথ দেখাবে।

উইকেটরক্ষক বাবা বিলি রোডসের সন্তান স্টিভ রোডস খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন উইকেটরক্ষক। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ১১টি টেস্ট ও ৯টি ওয়ানডে খেলেছেন। তবে তাঁর আসল পরিচয় তিনি ইংলিশ কাউন্টি দল উস্টারশায়ার কিংবদন্তি খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে। ১৯৮৫ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত টানা ২০ বছর তাদের হয়ে খেলা রোডস খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনে ২০০৬ সালে কোচ হিসেবে টম মুডির স্থলাভিষিক্ত হন। ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত একই সঙ্গে উস্টারশায়ার কোচ ও পরিচালকের দ্বৈত ভূমিকা পালন করেছেন।

বিসিবি সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য হোটেল সোনারগাঁও থেকে বের হচ্ছেন স্টিভ রোডস। ছবি: শামসুল হক
বিসিবি সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য হোটেল সোনারগাঁও থেকে বের হচ্ছেন স্টিভ রোডস। ছবি: শামসুল হক

সামনের সপ্তাহে ৫৪-তে পা দিতে যাওয়া এই কোচ ২০১৭ সালে উস্টারশায়ারকে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন ওয়ানে উন্নীত করেছেন। ২০১১ মৌসুমে এই উস্টারশায়ারের হয়েই কাউন্টি খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তখন যথারীতি সাকিবদের কোচের দায়িত্বে রোডসই ছিলেন। সাকিব উস্টারশায়ারে দুই মৌসুমে ২৬টি ম্যাচ খেলেছেন। ফলে রোডসের কোচিংয়ের ধরন বেশ ভালোমতোই জানার কথা সাকিবের।

উস্টারশায়ার ছাড়াও ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ছিলেন রোডস। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে স্কাউট হিসেবেও কাজে লাগিয়েছিল। উঠতি প্রতিভা খুঁজে আনার জহুরি চোখ আছে রোডসের। পুরো ক্যারিয়ারে শুধু একটাই দাগ। উস্টারশায়ারের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কটা শেষ হয়েছিল বড় তিক্তভাবে। তরুণ ক্রিকেটার অ্যালেক্স হপবার্নের ধর্ষণ মামলার কথা দীর্ঘ সময় ক্লাব কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। তবে তরুণ প্রতিভা খুঁজে বের করা ও গড়ে তোলার ব্যাপারে রোডসের সুনামে সেটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।