বাংলাদেশের মান বাঁচানোর 'সংখ্যা'টা ১৪৬

সাকিব-তামিমদের ১৪৬ করতে হবে। ফাইল ছবি
সাকিব-তামিমদের ১৪৬ করতে হবে। ফাইল ছবি

অহংয়ে যে লেগেছে, সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষায়। র‌্যাঙ্কিং-রেটিংয়ে আফগানিস্তান অন্তত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে—এ তথ্যটা দিয়েও সান্ত্বনা খোঁজা কঠিন। সিরিজ বাঁচানো আর সম্ভব নয়। তবে আরেক ‘স’-এর সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ। সম্ভ্রম! তবে কাজটা সহজ হবে না। ৬ উইকেটে ১৪৫ রান করেছে আফগানিস্তান।

মোসাদ্দেক হোসেনের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ শুরুই করলেন ১৮ রান দিয়ে! প্রথম ওভারে মিরাজের ওপর চড়াও হলেও মোহাম্মদ শাহজাদ বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। অষ্টম ওভারে তাঁকে তুলে নেন নাজমুল। ২২ বলে ২৬ রান করে ফিরেছেন শাহজাদ। ওপেনিং জুটিতে শাহজাদ-উসমান গনির ৫৫ রানের জুটিই আফগানদের ইনিংসে সর্বোচ্চ।
প্রথম ওভার খারাপ করায় মিরাজকে একেবারে ১১তম ওভারে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক সাকিব। মাঝে দুই পেসার আবু হায়দার ও আবু জায়েদ ছাড়াও তিনি নিজেও বোলিংয়ে এসেছেন। বোলিং করিয়েছেন নাজমুলকে দিয়েও। ২০ ওভারের কোটা পূরণে মোট সাতজন বোলার ব্যবহার করেছেন সাকিব। এর মধ্যে নাজমুল, আবু জায়েদ এবং সাকিবই সবচেয়ে সফল। ১৮ রানে ২ উইকেট নেন নাজমুল। ২৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ। আর সাকিব ছিলেন সবচেয়ে কৃপণ। ৪ ওভারে ১৬ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট, আগের ম্যাচে বাজে বোলিং আজ কিছুটা পুষিয়েছেন অধিনায়ক। মান বাঁচানোর এই ম্যাচে নজিবুল্লাহ জাদরানের উইকেটটি দিয়ে সাকিব একটি রেকর্ডও গড়লেন। এই উইকেট দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রান ও ৫০০ উইকেট নেওয়ার অভিজাত ক্লাবে নাম লেখালেন সাকিব।
আফগানিস্তান শেষ ১০ ওভারে ৮১ রান তুললেও ‘ডট’ দেওয়ার ক্ষেত্রেও বাকিদের চেয়ে এগিয়ে এই তিন বোলার। সর্বোচ্চ ১৩টি করে ডেলিভারি ‘ডট’ দিয়েছেন নাজমুল ও সাকিব। ১১টি ‘ডট’ দিয়েছেন আবু জায়েদ। মিরাজ-সৌম্য-আরিফুল ৪ ওভারে ৪৮ রান না দিলে আফগানদের স্কোরটা আরও কম হতে পারত।

১৪৫ কিংবা এর বেশি রান তাড়া করে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে চারবার জিতেছে। সংখ্যাটা হয়তো বেশি নয়। তবে বাংলাদেশ এই প্রত্যয় খুঁজে নিতে পারে, চারবারের দুবারই ছিল এ বছর, নিদাহাস ট্রফিতে। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত সেই সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছিল, ২০-২০ ওভারের খেলাটার ধাঁধা তারা দেরিতে হলেও বুঝতে পারছে। যদিও এই সিরিজে আবারও মনে হচ্ছিল সেই বিভ্রান্ত বাংলাদেশ। শেষটা ভালো দিয়ে টানার সুযোগটা ব্যাটসম্যানরা নেবেন?