আর্জেন্টিনার বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে ডাক পাবেন ইকার্দি?

লানজিনির ইনজুরি কি ভাগ্য ফেরাবে ইকার্দির? ছবি: রয়টার্স
লানজিনির ইনজুরি কি ভাগ্য ফেরাবে ইকার্দির? ছবি: রয়টার্স
>হাঁটুর চোটে পড়ে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গিয়েছে আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল লানজিনির। তাঁর জায়গায় তুখোড় ফর্মে থাকা স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দিকে কি দলে নেবেন আর্জেন্টিনার কোচ হোর্হে সাম্পাওলি? জিজ্ঞাসাটা আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের। উত্তরটা...


সতীর্থের অকল্যাণ কেউ কামনা করে না নিশ্চয়ই। সতীর্থ ক্যারিয়ার-নাশা ইনজুরিতে পড়লে কারও খুশি হওয়ারও কারণ নেই। তবে নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে, বিষয়টা যখন বিশ্বকাপ, ম্যানুয়েল লানজিনির চোট বাদ পড়াদের কারও জন্য সুখবর তো আনবেই। আর্জেন্টিনার ২৩ জনের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি—এমন আরও একজন এবার জায়গা পাচ্ছেন। কিন্তু নামটা কি মাউরো ইকার্দি হবে?

বিতর্কিত ব্যক্তিগত জীবন হোক, কিংবা অন্য কোনো কারণ, ইকার্দি আর্জেন্টিনা দলে সুযোগ পাননি তেমন। অথচ শুধু গোল করার কারণে নয়, নেতৃত্ব গুণেও খুব অল্প বয়সে ইন্টার মিলানের মতো দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন। এবার তো ইতালিয়ান লিগে গোলের বন্যা বইয়েছেন। ২৯ গোল করে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পরও বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি ইকার্দির।

গঞ্জালো হিগুয়েইন ডাক পেলেও ইকার্দি নেই, এটি আর্জেন্টিনা-সমর্থকদের হতাশ করেছে। গতকাল হাঁটুর চোটে পড়ে বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছে লানজিনির। চোটে পড়েছেন আরেক মিডফিল্ডার এভার বানেগাও। যদিও তিনি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে লানজিনির বদলি হিসেবে কেউ না কেউ তো আসছেনই। সাম্পাওলি কি ইকার্দিকে দলে ডাকবেন?

এই প্রশ্নের উত্তরটা খুব সম্ভবত ‘না’-ই হতে যাচ্ছে। একজন আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডারের জায়গায় গোলশিকারি কোনো একটা স্ট্রাইকারকে দলে নেবেন সাম্পাওলি, এটা একরকম অসম্ভব। আর্জেন্টিনার দলে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়ের অভাব তো নেই। ঘাটতিটা মাঝমাঠে। উল্টো সেই মাঝমাঠে প্রথম একাদশে নিশ্চিত থাকবেন এমন একজনকে হারিয়ে ফেলে আরও একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় বাড়ানোর কথা নয়। তাই লানজিনির জায়গায় আরেকটা মিডফিল্ডারই দলে আসতে পারেন।

শোনা যাচ্ছে, সেভিয়ার রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার গিডো পিজারো কিংবা উইঙ্গার ডিয়েগো পেরোত্তিকে দলে ডাকতে পারেন সাম্পাওলি।