বিশ্বকাপ জিতলেও দলে সেভাবে অবদান রাখতে পারেননি যাঁরা

বিশ্বকাপ জিতেছেন। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে দলের হয়ে সেভাবে অবদান নেই। এমন বেশ অনেক খেলোয়াড়ই আছেন। আসুন এ রকম কজন খেলোয়াড়কে জেনে নেই—


পেলে-ম্যারাডোনার মতো না হতে পারলে বিশ্বকাপ জেতা অসম্ভব—বেশির ভাগ মানুষের ভাবনাটা এমনই। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বিশ্বকাপ জিততে সেরা খেলোয়াড় না হলেও চলে। অসাধারণ কিছু না করেও বিশ্বকাপ জেতা যায়। আবার অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হয়েও বিশ্বকাপ জিততে পারেননি, এমন খেলোয়াড়ও আছেন। এই যুগে যেমন লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যদিও তাঁদের সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বিশ্বকাপ জিতেছেন কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে ব্যর্থ, এমন কজন খেলোয়াড়কে আসুন জেনে নেই:

লুইজাও
লুইজাও


লুইজাও: ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড লুইজাওয়ের ক্যারিয়ার অনেকটাই যাযাবরের মতো। এই ক্লাব থেকে সেই ক্লাব করেই কেটেছে তাঁর ক্যারিয়ার। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে ১৫বার ক্লাব পাল্টেছেন। ব্রাজিলিয়ান লিগে করিন্থিয়ানস এবং গ্রেমিও-র হয়ে বেশ কিছু গোল করায় ২০০২ বিশ্বকাপে দলে সুযোগ মেলে এই ফরোয়ার্ডের। সুযোগ পেয়ে লুইজাও অতিমানবীয় কিছু করে ফেলতে পারেননি। গ্রুপপর্ব ও সেমিফাইনালে মাঠে নামলেও গোল পাননি। তবে লুইজাও যতটা অনুজ্জ্বল ঠিক ততটাই উজ্জ্বল ছিল সেবারের ব্রাজিল। ফাইনালে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছিল তাঁরা।

সিমোন ব্যারন
সিমোন ব্যারন


সিমোন ব্যারন: ১২ বছরের ক্যারিয়ারে বেশ কিছু ক্লাবে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন সিমোন ব্যারন। গোটা ক্যারিয়ারে বলার মতো কোনো পারফরম্যান্স না থাকলেও ২০০৪ থেকে ২০০৬ সালে পার্লেমোর হয়ে কেটেছিল এই মিডফিল্ডারের। এতেই ডাক পেয়ে যান ২০০৬ ইতালির বিশ্বকাপ দলে। মিডফিল্ডার হিসেবে সেই বিশ্বকাপে নামের সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ব্যারন। কিন্তু ইতালি বিশ্বকাপ জেতায় ঢাকা পড়েছিল তাঁর বাজে পারফরম্যান্স।

রকি জুনিয়র
রকি জুনিয়র


রকি জুনিয়র: ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন ৪৮টি ম্যাচ। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় নেতৃত্ব দেওয়ার ভারও চেপেছিল রকি জুনিয়রের কাঁধে। পুরো ক্যারিয়ারে যেমনই খেলেন না কেন, ২০০২ বিশ্বকাপে বাজে ডিফেন্ডিংয়ের সমালোচনা তাকে এখনো বয়ে বেড়াতে হয়। ২০০২ বিশ্বকাপের পর এমনও বলা হয়েছে, রকি এমন একজন ডিফেন্ডার যে কি না ডিফেন্ডিংটাই করতে জানে না! অথচ তিনি কিন্তু ২০০২ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন।

বের্নাদ দিওমেদে
বের্নাদ দিওমেদে


বের্নাদ দিওমেদে: ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ডাক পেয়েছিলেন ২৪ বছর বয়সী উইঙ্গার বের্নাদ। সেবার বিশ্বকাপে ফ্রান্স কোচকে হতাশ করে দলের হয়ে তেমন কিছুই করতে পারেননি তিনি। বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ফ্রান্সের হয়ে। জিনেদিন জিদানদের সঙ্গে বের্নাদ সেবার বিশ্বকাপ জিতলেও ফ্রান্স দলে সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স ছিল বের্নাদেরই।

ক্লেবারসন
ক্লেবারসন


ক্লেবারসন: ক্লাব ফুটবলে বেশ ভালো নাম কামালেও বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্যর্থ ছিলেন ক্লেবারসন। ক্লাবে ধারাবাহিকতার কারণেই মূলত ২০০২ বিশ্বকাপ ব্রাজিল দলে তাঁকে রেখেছিলেন কোচ লুই ফেলিপে স্কলারি। তবে স্কলারিকে ভুল প্রমাণিত করে বিশ্বকাপে মোটেও ভালো খেলতে পারেননি এই মিডফিল্ডার। কিন্তু রোনালদো-রোনালদিনহোদের সঙ্গে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন।