বাংলাদেশের হারানোর কিছু ছিল না, ভারতের ছিল অনেক

বাংলাদেশকে প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশকে প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা। ছবি: সংগৃহীত
>প্রথমবারের মতো কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের মেয়েরা

মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে একটা আশাবাদ শুনিয়েছিলেন সালমা খাতুন। সপ্তম এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। সে আশাবাদ তখন হাস্যকর শোনাচ্ছিল। এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য তৃতীয় হওয়া। এ ছাড়া কদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় রীতিমতো ধবলধোলাই হওয়ার পর অমন আশাবাদ বাড়াবাড়ি ঠেকছিল। কিন্তু সালমারা শুধু নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করেননি, স্বপ্নের সীমা ডিঙিয়ে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন ক্রিকেটে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা।

কীভাবে হলো এ অসাধ্যসাধন? যে ভারত দল এশিয়া কাপের ইতিহাসে কখনো হারেনি, ছিল টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত। সে দলকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইবার হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ! পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাও এখনো সে কথা ভাবতে পারে না। অধিনায়ক সালমা খাতুন শিরোপা জয়ের আনন্দ প্রকাশ করতে এসেও জানালেন কত বড় অর্জন এটা, ‘আমরা খুব খুশি যে আমরা এশিয়া কাপ জিতেছি। এটা যে কত বড় একটা ব্যাপার, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমরা গ্রুপপর্বে ভারতের বিপক্ষে জিতেছিলাম। আজ ফাইনাল ছিল। আমরা খুশি যে আজও আমরা জিতেছি।’

আনন্দের এ অনুভূতি সবার জানা। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসেই অনন্য হয়ে থাকবে। কিন্তু ভারতকে হারানোর রহস্য কী? সেটাও জানালেন সালমা, ‘আমাদের হারানোর কিছু ছিল না। ওদের হারানোর ছিল অনেক কিছু। এখানে আমাদের অনেক সমর্থক ছিল, এটা খুব ভালো লেগেছে। সবাইকে ধন্যবাদ এভাবে সমর্থন দেওয়ার জন্য।’

অথচ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেও মনে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার দুঃস্বপ্ন এখানেও তাড়া করছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৬৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে শুধু ঘুরে দাঁড়ায়নি, এশিয়ার ক্রিকেটের পরাশক্তি ভারতকে দুবার হারিয়ে এশিয়া কাপ জিতে নিয়েছে র‍্যাঙ্কিংয়ে নয়ে থাকা দলটি, ‘টুর্নামেন্টে আমাদের শুরুটা খুব খারাপ ছিল। খুব ভালো লাগছে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি বলে। এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করব। অসম্ভব খুশি।’