রোনালদোর মুখোমুখি হচ্ছেন রামোস

দেশের হয়ে রোনালদোর মুখোমুখি হবেন রামোস। ফাইল ছবি
দেশের হয়ে রোনালদোর মুখোমুখি হবেন রামোস। ফাইল ছবি
>বিশ্বকাপে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় হেভিওয়েট ম্যাচে স্পেন খেলবে পর্তুগালের বিপক্ষে। এই ম্যাচে দেশের হয়ে মুখোমুখি হবেন দুই রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ সার্জিও রামোস ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সংবাদ সম্মেলনে রামোস জানিয়েছেন, রোনালদো যেন তাঁর সেরা ম্যাচটা খেলতে না পারেন, সেই আশা নিয়েই তিনি মাঠে নামবেন

ক্লাব ফুটবলে দুজন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে থাকেন। কিন্তু বিশ্বকাপ তাঁদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে মুখোমুখি অবস্থানে। বলা হচ্ছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও সার্জিও রামোসের কথা। রিয়াল মাদ্রিদের এই দুই সতীর্থ আজ দেশের জন্য একে অপরের ব্যর্থতা কামনা করেই মাঠে নামবেন।

সোচিতে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় হেভিওয়েট ম্যাচে স্পেনের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। এই ম্যাচ অনেকের কাছেই এ দুই বন্ধুপ্রতিম ক্লাব সতীর্থের ধুন্ধুমার লড়াই। রোনালদোর সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে গত বছর রামোস একবার নিজেই বলেছিলেন, ‘দারুণ বন্ধুত্ব রয়েছে আমাদের মাঝে।’ অথচ এখন রামোসকে প্রার্থনা করতে হচ্ছে, আজ সেই ‘বন্ধু’টি যেন সেরা ফর্মে না থাকেন!

রিয়াল ফরোয়ার্ড সেরা ফর্মে থাকলে কী ঘটতে পারে, তা ক্লাব ফুটবলে রামোসের কাছে ভীষণ পরিচিত দৃশ্য। রিয়ালের রক্ষণে যেমন রামোস তেমনি আক্রমণে রোনালদো—প্রতিপক্ষকে নাকানিচুবানি খাইয়ে টানা তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন এই দুই ক্লাব সতীর্থ। এখন স্পেনের জার্সিতে পর্তুগাল তারকার মুখোমুখি হতে রামোসের ঠিক কেমন লাগছে?

অবশ্যই ভালো লাগার কথা নয়। পর্তুগাল একে তো ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন, তার ওপর দলটির মূল তারকা রোনালদোর মতো অন্যতম বিশ্বসেরা। মাঠে তাঁকে বোতলবন্দী করে রাখাই রামোসের গুরুদায়িত্ব। স্পেন অধিনায়ক এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। তবে জানিয়ে রাখলেন, রোনালদোর মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে তাঁর সঙ্গে এক দলে খেলাটাই স্বস্তিদায়ক। রামোসের ভাষ্য, ‘মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে তাকে নিজের দলে পেতে চাইতাম। আমরা সবাই জানি, সে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে। আশা করি ক্রিস্টিয়ানো তার সেরা ম্যাচটা খেলবে না।’

বিশ্বকাপের স্প্যানিশ আর্মাডায় বেশ টালমাটাল অবস্থা চলছে। বিশ্বকাপ শুরুর এক দিন আগে ছাঁটাই হন দলটির কোচ হুলেন লোপেতেগি। এ নিয়ে বেশ অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে। রামোস এই অস্থিরতা ভুলে সবাইকে মনোযোগী হতে বললেন বিশ্বকাপে। তাঁর ভাষ্য, ‘যত দ্রুত সম্ভব ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভাবনা থেকে স্পেনকে বের হয়ে আসতে হবে। আসুন, বিশ্বকাপে মনোযোগী হই, এটা সবার জন্যই ভালো।’