নাইকির বুট ছাড়াই ইরানের বাজিমাত

ইরান–সমর্থকদের বানানো এই সেই ছবি। ছবি: এএস
ইরান–সমর্থকদের বানানো এই সেই ছবি। ছবি: এএস
>
বিশ্বকাপ শুরুর কদিন আগে ইরানের খেলোয়াড়দের বুট সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল নাইকি। অগত্যা রাশিয়ার এক স্থানীয় দোকান থেকে বুটের চাহিদা মেটাতে হয় ইরানের খেলোয়াড়দের। মরক্কোর বিপক্ষে জয়ের পর নাইকিকে একহাত নিয়েছে ইরানের সমর্থকেরা

বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে কোনো ত্রুটি রাখেনি ইরান। কিন্তু বাগড়া দিয়ে বসেছিল তাদের বুটের স্পনসর নাইকি। যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্রীড়াসরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র দুদিন আগে ইরানকে জানিয়ে দেয়, ‘অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা’র কারণে তারা খেলোয়াড়দের বুট সরবরাহ করতে পারবে না। মহাবিপদেই পড়ে গিয়েছিল ইরানি দল। অগত্যা, রাশিয়ায় পৌঁছে স্থানীয় দোকান থেকে বুট কিনতে হয়েছে তাদের। এতে অবশ্য জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে কোনো অসুবিধা হয়নি তাদের। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই মরক্কোকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। মরক্কোর বিপক্ষে সেই জয়ের পর নাইকিকে স্রেফ ধুয়ে দিয়েছে ইরানের সমর্থকেরা।

নাইকির বিখ্যাত স্লোগান হলো ‘জাস্ট ডু ইট’। ইরানের সমর্থকেরা প্রতিষ্ঠানটির এই স্লোগান নিয়েই মজা লুটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাইকির স্লোগান দিয়ে একটা ট্রল বানিয়ে ছেড়েছে তারা। তাতে লেখা, ‘উই জাস্ট ডিড ইট উইদাউট ইউ’। বাংলায় যার অর্থ, তোমাদের (নাইকি) ছাড়াই আমরা পেরেছি! নাইকিকে নিয়ে ইরানের সমর্থকদের এই তির্যক রসিকতা ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

শুধু ইরানের সমর্থকেরাই নয়, দলের পর্তুগিজ কোচ কার্লোস কুইরোজ পর্যন্ত নাইকির এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাইকির বুট সরবরাহ না করার ব্যাপারটি তাঁর দৃষ্টিতে ‘ফুটবলের বিপক্ষে অপরাধ’। প্রতিষ্ঠানটি ‘খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতি মিশিয়ে ফেলেছে’ বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কুইরোজ।