সালাহ বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন তো!

বেঞ্চে বসেই হতাশমুখে দলের হার দেখতে হয়েছে সালাহকে। ছবি: রয়টার্স
বেঞ্চে বসেই হতাশমুখে দলের হার দেখতে হয়েছে সালাহকে। ছবি: রয়টার্স

মিসর বিশ্বকাপে পা রাখতে পেরেছে মাত্র তিনবার। প্রথমবার ১৯৩৪ সালে, দ্বিতীয়বার ১৯৯০ সালে। এরপরে আর কখনোই বিশ্বকাপের স্বপ্নযাত্রায় সারথি হতে পারেনি মিসর। মোহাম্মদ সালাহর ওপর ভর করে ২৮ বছর পরে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে তারা। কিন্তু মূল তারকা সালাহর মাঠে নামা এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত।

প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ সালাহকে খেলা দেখতে হয়েছে বেঞ্চে বসে। বেঞ্চে বসে দেখেছেন শেষ মুহূর্তের গোলে কীভাবে বুক ভেঙেছে তাঁর দলের। প্রথম ম্যাচে নামবেন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত নামেননি। চোট নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল, কোচ আর ঝুঁকি নেননি। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে মাঠে নামবেন, তা প্রায় নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু শনিবারের অনুশীলন প্রশ্নই তুলে দিল, সালাহ আদৌ বিশ্বকাপেই খেলতে পারবেন কি না। জার্সি পরার সময় সালাহকে তিন খেলোয়াড়ের সহায়তা নিতে দেখা গেছে। যদিও এরপর অনুশীলনে ভালোভাবেই ঘাম ঝরিয়েছেন। কিন্তু পায়ে দৌড়াতে তো আর সমস্যা নেই। সালাহর আসল চোট তো কাঁধে। এ কারণেই তাঁকে জার্সি পরতে অন্যের সাহায্য নিতে দেখে প্রশ্নটা জেগেছে। কাঁধ কি তবে পুরো সেরে ওঠেনি?

মিসরের দলীয় চিকিৎসক অবশ্য বলছেন, সালাহর দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামতে কোনো সমস্যা নেই। সালাহ এখনই খেলার জন্য শতভাগ প্রস্তুত। কিন্তু সালাহ শতভাগ প্রস্তুত—এ কথা মিসর বলে আসছে সেই শুরু থেকেই।

উরুগুয়ের সঙ্গে ম্যাচের দিন ছিল মোহাম্মদ সালাহর ২৬তম জন্মদিন। ৬০ পাউন্ডের কেক কেটে সতীর্থদের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করেছেন। তারপর থেকে অবশ্য সালাহকে কোনো জায়গাতেই হাসিমুখে দেখা যায়নি।