এটাই কি ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ম্যাচ?

অবিশ্বাস্যভাবে ফাইনালে ওঠার পর উল্লসিত অস্ট্রেলিয়া দল। ফাইল ছবি
অবিশ্বাস্যভাবে ফাইনালে ওঠার পর উল্লসিত অস্ট্রেলিয়া দল। ফাইল ছবি

১৯৯৯ সালের ১৭ জুন। ফাইনালে যাওয়ার লড়াই। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে স্টিভ ওয়াহর অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ হ্যানসি ক্রোনিয়ের দক্ষিণ আফ্রিকা।
টসে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পেস বোলারদের আদর্শ উইকেটে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন কিছু ছিল না। অস্ট্রেলিয়া আটকে গেল ২১৩তে। নিজেদের ইতিহাসে প্রথম ফাইনালে ওঠার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামল প্রোটিয়া।

৪৯তম ওভারের খেলা শেষ। দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২০৫ রান, হাতে আছে এক উইকেট। ম্যাচ জিততে দরকার ৬ বলে ৯ রান। ১২ বলে ২৩ রান করে ক্রিজে থাকা ল্যান্স ক্লুজনারই শেষ ভরসা। ওয়াহ শেষ ওভারে ভরসা রাখলেন ডেমিয়েন ফ্লেমিংয়ের ওপর। প্রথম বলে চার তুলে নিলেন ক্লুজনার। দরকার ৫ বলে ৫ রান। দ্বিতীয় বলে আরও জোরে শট, বল আবারও বাউন্ডারির বাইরে। ৪ বলে দরকার ১ রান। নিশ্চিতভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাই জিততে যাচ্ছে ম্যাচ—সেটাই ধরে নিয়েছিল সবাই।

সেই বিখ্যাত রানআউট। ফাইল ছবি
সেই বিখ্যাত রানআউট। ফাইল ছবি


স্টিভ ওয়াহ তাঁর ফিল্ডারদের নিয়ে এলেন ক্রিকেট মাঠের বৃত্তের মধ্যে। তৃতীয় বলে ক্লুজনারের ব্যাটে লেগে বল গেল মিড অনে ফিল্ডারের কাছে, কোনো রান হলো না। চতুর্থ বলে ব্যাটে বল লাগার সঙ্গে সঙ্গে ক্লুজনার দিলেন দৌড়, আর রান বলে চিৎকার দিলেন। কিন্তু অপর প্রান্তে অ্যালেন ডোনাল্ড ডাক না শুনে তাকিয়ে ছিলেন বলের দিকে। কী হলো তারপর?

তীরে এসে তরি ডুবেছিল ক্লুজনারদের। ফাইল ছবি
তীরে এসে তরি ডুবেছিল ক্লুজনারদের। ফাইল ছবি

পড়িমরি করে ছুটেও ওই প্রান্তে পৌঁছানো গেল না, রানআউট হলেন ডোনাল্ড। ম্যাচ টাই হলেও সুপার সিক্সে শীর্ষে থাকায় ফাইনালে চলে গেল অস্ট্রেলিয়া। ডোনাল্ডের এমন বোকামির পর ক্লুজ যেভাবে গ্লাভস খুলতে খুলতে মাঠ ছেড়েছিলেন, ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে এখনো সেই দৃশ্য ভাসে। আর দক্ষিণ আফ্রিকাও পেয়ে যায় চোকারস ট্যাগ। অনেক ক্রিকেটবোদ্ধা ও সমর্থক এই ম্যাচকে বিবেচনা করে থাকেন ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ম্যাচ হিসেবে। আর আজ সেই ম্যাচটি দুই দশকে পড়ল।