প্রথম ল্যাপে জিতলেন রোনালদো

প্রথম ম্যাচেই করেছেন হ্যাটট্রিক। পর্তুগালের অনুশীলনে রোনালদো তাই ফুরফুরে মেজাজে। ছবি: এএফপি
প্রথম ম্যাচেই করেছেন হ্যাটট্রিক। পর্তুগালের অনুশীলনে রোনালদো তাই ফুরফুরে মেজাজে। ছবি: এএফপি
লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার, মোহাম্মদ সালাহ—বিশ্বকাপে এই চার তারকার দিকেই সবার নজর। তাঁদের দলগুলো এরই মধ্যে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলে ফেলেছে। পারফরম্যান্স বিচারে প্রথম ম্যাচ শেষে বাকি চার তারকার চেয়ে রোনালদোই এগিয়ে


গ্রুপপর্বের খেলা কেবল শুরু। বাকিদের চেয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আপাতত এগিয়ে এই পথটুকু। প্রশ্ন উঠতে পারে, কীভাবে? বিশ্বকাপ যে পর্যন্ত এগিয়েছে, সেটুকু পেছন ফিরে দেখুন, জবাব পেয়ে যাবেন।

লিওনেল মেসি, রোনালদো, নেইমার, মোহাম্মদ সালাহ—বিশ্বকাপে এই চার তারকার দিকেই সবার নজর। তাঁদের দলগুলো এরই মধ্যে নিজেদের প্রথম ম্যাচটা খেলে ফেলেছে। তা, প্রথম ম্যাচ শেষে এই চার তারকার খেরোখাতায় কী কী মণিকাঞ্চন যোগ হলো?

মেসিকে দিয়ে শুরু করা যায়। তাঁর পেনাল্টি মিসে আর্জেন্টিনা জিততে পারেনি। সালাহ তো চোটের জন্য মিসরের প্রথম ম্যাচটা খেলতেই পারলেন না। তাঁর দলও হেরেছে। আর নেইমার তো মাঠে খেলার চেয়ে বেশি সময় শুয়ে ছিলেন! না, কথাটা আক্ষরিক অর্থে তা নয়। সুইজারল্যান্ড ডিফেন্ডারদের ‘সুইস নাইফ’-এর সঙ্গে তিনি আসলে কুলিয়ে উঠতে পারেননি। তাঁর ক্রমাগত ফাউলের শিকার হওয়াটা বেশি করে চোখে বাধলেও নেইমার কি আসলে ভালো খেলেছেন? জবাবটা ‘না’ আসার হারটা অনেক বেশি হবে।

আর রোনালদো? পর্তুগালের প্রথম ম্যাচেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলকে বাঁচাতে তিনি একাই যথেষ্ট! স্পেনের বিপক্ষে সেই ‘মহাকাব্যিক’ ম্যাচে রোনালদো কোথায় ছিলেন না! হ্যাটট্রিকের প্রসঙ্গ পরে আসুক, আগে দেশের জন্য তাঁর নিবেদনটা দেখুন—আক্রমণ করেছেন, বানিয়েছেন, বল কেড়েছেন, এমনকি রক্ষণেও তাঁকে দেখা গেছে।

সেই ম্যাচে রোনালদোর হ্যাটট্রিক নিয়েও অনেকের ‘ভ্রুকুটি’ আছে। প্রথম গোলটা পেনাল্টি থেকে পরেরটা ডেভিড ডি গেয়ার ‘উপহার’—তাই তো? কিন্তু তারপরও ওসব গোল, এটা অস্বীকারের পথ নেই। পেনাল্টি থেকে গোল করা যে সহজ নয়, সেটা মেসি যেমন নিজে বুঝেছেন, তেমনি ফুটবলপ্রেমীদেরও বুঝিয়ে দিয়েছেন। আর ডি গেয়ার হাত ফসকে বল জালে ঢোকার আগ পর্যন্ত রোনালদোর শটে কতটা গতি ছিল, সেটা গবেষণার বিষয়। এই গতিটুকুই কাল হয়েছে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষকের জন্য।

আর ফ্রিকিক থেকে তাঁর শেষ গোলটা? এককথায় অসাধারণ। স্পেন তখন ৩-২ গোলে এগিয়ে। শেষ বাঁশি বাজতে কয়েক মিনিট বাকি। এমন চাপের মধ্যে মাথা ঠান্ডা রেখে তাঁর অনিন্দ্যসুন্দর গোলটা পর্তুগালের হার এড়ানোর সঙ্গে একটা বার্তাও দিয়েছে—এই বিশ্বকাপে রোনালদোর আস্তিন থেকে হয়তো আরও অনেক মণিমুক্তা বেরিয়ে আসবে!