জায়েদের সামনে একটি পরামর্শ ও অ্যান্ডারসন

আবু জায়েদ যেতে চান বহুদূর। ছবি: প্রথম আলো
আবু জায়েদ যেতে চান বহুদূর। ছবি: প্রথম আলো
>ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ টেস্ট দলে নতুন মুখ হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন আবু জায়েদ চৌধুরী। প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে জায়গা পেয়ে বেশ রোমাঞ্চিত এই তরুণ পেসার।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে হায়দরাবাদ টেস্টের আগে হঠাৎই ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য ডাক পেলেন আবু জায়েদ। টেস্ট দলে ডাক পাননি, খেলবেন শুধুই একটি প্রস্তুতি ম্যাচ, তাতেই আবু জায়েদের কী রোমাঞ্চ! ভারতে রওনা দেওয়ার আগে বিসিবি একাডেমি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বলে গেলেন, ‘স্বপ্ন দেখি একদিন টেস্ট খেলব।’

সেই স্বপ্নটা পূরণ এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হবে কি না, এখনই বলার উপায় নেই। তবে স্বপ্নের দুয়ার তো খুলল। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট দলে নতুন মুখ হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন ২৪ বছর বয়সী পেসার। বাংলাদেশ টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে কতটা রোমাঞ্চিত, সিলেট থেকে সেটিই আজ জানালেন আবু জায়েদ, ‘বাংলাদেশ দলের হয়ে বেশ কয়েকটা টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছি। তবে টি-টোয়েন্টির চেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত টেস্ট দলে জায়গা পেয়ে। টেস্ট হচ্ছে আমার সবচেয়ে প্রিয় সংস্করণ। অনেকগুলো (৬২টি) প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছি। অনেক আগে থেকেই স্বপ্ন দেখেছি, টেস্ট দলে সুযোগ পাব। টি-টোয়েন্টির চেয়ে বেশি খুশি হয়েছি টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে।’

দলে সুযোগ পেয়েছেন। এখন যদি একাদশেও থাকেন, আবু জায়েদ স্বাভাবিকভাবেই চেষ্টা করবেন দ্যুতি ছড়াতে। তবে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংস্করণে খেলতে নামা যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে হয়, কাজটা কতটা কঠিন সেটি তাঁর অজানা নয়। তবে এ ক্ষেত্রে আবু জায়েদকে অনুপ্রাণিত করছে মুমিনুল হকের সেই পরামর্শটা, ‘চেষ্টা করব লম্বা সময় ধরে বোলিং করার। বিসিএলে আমি সৌরভ ভাইয়ের (মুমিনুল হক) দলে খেলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, টেস্টে ভালো করতে হলে এক জায়গায় লম্বা সময় ধরে বোলিং করতে হয়। আমি সেভাবেই চেষ্ট করব। আর আমাদের বোলিং কোচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের (ওয়ালশ)। এটাও সহায়তা করবে। ওখানকার উইকেটে কোথায় কী করতে হবে, ওয়ালশ নিশ্চয়ই আমাদের বলবেন।’

সিলেটের মীরাবাজারে বেড়ে ওঠা আবু জায়েদকে অনুপ্রাণিত করেন জেমস অ্যান্ডারসনও। ১৩৮ টেস্ট খেলা এই ইংলিশ পেসার তাঁর প্রিয় বোলার। অ্যান্ডারসনকে এতটাই পছন্দ করেন যে আবু জায়েদের বোলিং অ্যাকশন, ফলো থ্রু অনেকটাই ইংলিশ পেসারের মতো। যাঁকে আদর্শ মানেন, অ্যান্ডারসন টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা প্রায় করেই ফেলেছেন। আর ২৪টি উইকেট পেলেই গ্লেন ম্যাকগ্রাকে ছাড়িয়ে তিনি হয়ে যাবেন টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ফাস্ট বোলার। অ্যান্ডারসনের মতো সফল হতে পারবেন কি না, বলা কঠিন। তবে আবু জায়েদ স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশ দলকে দীর্ঘ সময় সেবা দিতে, ‘আমার আপাতত লক্ষ্য টেস্ট দলে জায়গাটা ধরে রাখা। অ্যান্ডারসনের বোলিং ভীষণ ভালো লাগে। প্রথম দিকে ওর পুরো বোলিং অ্যাকশন অনুসরণ করতাম। পরে কিছুটা বদলেছি। স্বপ্ন দেখি অ্যান্ডারসনের মতো অনেক দূরে যাওয়ার।’