৯৯.৬০ শতাংশ মানুষই দেখেছেন যে ম্যাচ!

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয়ের সমান এক ড্র উদযাপন করছেন আইসল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা। ছবি: টেলিগ্রাফ
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয়ের সমান এক ড্র উদযাপন করছেন আইসল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা। ছবি: টেলিগ্রাফ
>আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ডের খেলা চলাকালীন টিভি দেখা মোট জনসংখ্যার ৯৯.৬০ শতাংশ ম্যাচটি দেখেছেন! যেটি কিনা আইসল্যান্ডের মোট জনসংখ্যারই ৬০ শতাংশ


গত ইউরোয় প্রথমবারের মতো বড় কোনো টুর্নামেন্ট খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল আইসল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে একটিও ম্যাচ না হেরে আর নকআউট পর্বে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল তারা। তখন থেকেই আইসল্যান্ডের জনগণের ফুটবলের প্রতি ঝোঁক ঊর্ধ্বমুখী। যেটির প্রভাব পড়তে শুরু করে দেশটির টিভি সম্প্রচারেও। ইংল্যান্ডকে হারানো ম্যাচটিই যেমন দেখেছিল আইসল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশ।

এবারের উপলক্ষ তো আরও বড়। নিজেদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচেই ড্র, তা–ও আবার আর্জেন্টিনার সঙ্গে! মাত্র সাড়ে তিন লাখ জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ডের জন্য সেটি যে কত গৌরবের ব্যাপার, তা বোঝা যাবে একটি পরিসংখ্যানে—আইসল্যান্ডে বিশ্বকাপ সম্প্রচারকারী টিভি চ্যানেল ‘আরইউভি’ জানিয়েছে, আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ডের খেলা চলাকালীন টিভি দেখা মোট জনসংখ্যার ৯৯.৬০ শতাংশ ম্যাচটি দেখেছেন! যেটি কিনা আইসল্যান্ডের মোট জনসংখ্যারই ৬০ শতাংশ!

গত ইউরোয় আইসল্যান্ডের ইংল্যান্ড ‘বধ’ দেখা টিভি দর্শকসংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ড ম্যাচে। আর তাই এই ম্যাচে আইসল্যান্ডের হয়ে গোল করা আলফ্রেড ফিনবোগাসন মজা করেই বলেছেন, ‘বাকি ০.৪ শতাংশ লোক ছিলাম আমরা যাঁরা মাঠে খেলছিলাম।’

বিশ্বকাপে যত দূর এগোবে ‘আইসল্যান্ডিক’রা, টিভিতে খেলা দেখা দর্শকের সংখ্যাও যে পাল্লা দিয়ে বাড়বে, সেটি না বললেও চলে।