'মেসির দুই গোল, হ্যাটট্রিকও হতে পারে; ক্রোয়েশিয়া ফিনিশ'

আর্জেন্টিনার অন্ধ সমর্থক মাশরাফি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
আর্জেন্টিনার অন্ধ সমর্থক মাশরাফি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
>বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১২টায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতবে ও মেসি জোড়া গোল করবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা

বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই বন্ধুদের আড্ডায় তর্ক-বিতর্ক। সবাই যে যার দলকে মুখের কথায় জেতাতে চায়। কেউ কেউ তো পারলে এখনই হাতে তুলে দেয় ট্রফিটা। বন্ধুর খোঁচাও হজম করতে হয়। পাল্টা গলা চড়িয়েও বলতে হয় অনেক কিছু। আপাতত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা নেই। টেস্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিয়ে এখনই মাশরাফির তোড়জোড় শুরু হয়নি। এই ফাঁকে পুরোদস্তুর ফুটবল সমর্থক হিসেবেই সময় কাটছে তাঁর। আর তাতে আর্জেন্টিনার হয়েই গলা ফাটাচ্ছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।

মাশরাফি দলবল নিয়ে থাকতে ভালোবাসেন। আর বিশ্বকাপ মানেই তো বন্ধু, কাছের ছোট ভাইদের নিয়ে জমাট আড্ডা। এমনই এক আড্ডায় গতকাল মাশরাফি বেশ ঝাঁজের সঙ্গে আজকের ম্যাচ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ ড্রর পরও আর্জেন্টিনা নিয়ে হতাশ নন তিনি। বরং রেকর্ড করা ভিডিওতে ঘোষণা দিয়েই বলেছেন, আজ ক্রোয়েশিয়াকে উড়িয়ে দেবে আর্জেন্টিনা। অনেকটা বাজিই যেন ধরেছেন আর্জেন্টিনা আর মেসির পক্ষে। আড্ডায় থাকা এক বন্ধুর সৌজন্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সে ভিডিও।

আড্ডায় কী বলেছেন মাশরাফি? ‘কালকে (আজ) মেসি একাই শেষ করে দেবে ক্রোয়েশিয়াকে। শেষ। মেসির গোল কমপক্ষে দুটি তো নিশ্চিত, হ্যাটট্রিকও হতে পারে।’ পাশ থেকে আরেকজনের জিজ্ঞাসা, অ্যাসিস্ট কয়টা? মাশরাফির দৃঢ় জবাব, ‘অ্যাসিস্ট-মেসিস্ট বুঝি না। দুটি গোল তো করবেই। তিনটাও হতে পারে।’

মাশরাফির ভবিষ্যদ্বাণী কতটা ফলবে, তা দেখার জন্য আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তবে আর্জেন্টিনারই আগের ম্যাচে তাঁর আরেক ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছিল। ১-১ গোলে সমতা থাকা অবস্থায় পেনাল্টি পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। স্পট কিকটা যখন নেওয়ার জন্য এগিয়ে যাচ্ছিলেন মেসি, তখন ‘যদি মিস না করে’ বলে মাশরাফিকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল আরেক ভাইরাল ভিডিওতে। সমর্থকদের ভয় থেকেই কথাটা বলেছিলেন, তা বোঝা যায়। মিলে না গেলেই ম্যাশ খুশি হতেন সবচেয়ে বেশি।

তবে খেলা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করায় মাশরাফির এক বচন কিংবদন্তি হয়ে আছে। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মাশরাফি বলেছিলেন, ‘ধরে দিবানি’। মাশরাফি নিজে সত্যি প্রমাণ করেছিলেন সে কথা।