প্রয়াত দাদুকে গোল উপহার ভেলার

>রোস্তভে দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মেক্সিকো। মেক্সিকানদের হয়ে গোল করেছেন কার্লোস ভেলা ও হাভিয়ের হার্নান্দেজ। দক্ষিণ কোরিয়ার একমাত্র গোলটি করেছেন সন

নিজেদের প্রথম ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস কতটা উঁচুতে, সেটি মেক্সিকোর খেলাতেই পরিষ্কার। রক্ষণ, মাঝমাঠ কিংবা আক্রমণ—কোথাও মেক্সিকোকে হারাতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। ছন্দময় ফুটবলে কোরিয়ানদের ২-১ গোলে হারিয়ে রোস্তভের গ্যালারিতে উঠল মেক্সিকান ঢেউ।

প্রথমার্ধে দক্ষিণ কোরিয়া পিছিয়ে পড়ে নিজেদের দোষেই। বক্সে হিয়ুন সুর হ্যান্ডবল হলে পেনাল্টি পেয়ে যায় মেক্সিকো। পেনাল্টি থেকে গোল করেন কার্লোস ভেলা। জার্মানিকে হারানোর দিনে দাদার মৃত্যুসংবাদ পেয়েছিলেন এই মেক্সিকান ফরোয়ার্ড। আনন্দের মধ্যে কান্না—অদ্ভুত এক অনুভূতি হয়েছিল তাঁর। দাদা নিজের শেষ দিনেও দেখে গেছেন মেক্সিকোর জয়। আজ স্বর্গ থেকে দেখলেন নাতির গোল!

ভেলার গোলে এগিয়ে যায় মেক্সিকো। ছবি: রয়টার্স
ভেলার গোলে এগিয়ে যায় মেক্সিকো। ছবি: রয়টার্স

শক্ত রক্ষণ, মাঝমাঠের দখল আর প্রতিপক্ষের রক্ষণ কাঁপিয়ে তোলা—দুই আমেরিকার দলগুলো যা ধারাবাহিক দেখাতে পারছে না, মেক্সিকো সেটিই যেন করে দেখাচ্ছে। মুগ্ধ করছে ছন্দময় ফুটবলে। এরই একটা ঝলক দেখা গেল ৬৬ মিনিটে। হিরভিং লোজানোর বাড়িয়ে দেওয়া বলটা ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ২-০ করে ফেললেন হাভিয়ের হার্নান্দেজ। মেক্সিকোর হয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গোলের ‘ফিফটি’ করলেন এই ফরোয়ার্ড।

আর্জেন্টিনা যেমন তাকিয়ে থাকে লিওনেল মেসির দিকে, একইভাবে কোরিয়ার বড় ভরসা সন হিয়ুং-মিন। সন জ্বলে উঠলেন, তবে বড় দেরিতে। মেক্সিকোর জাল খুঁজে পেলেন ৯০ মিনিটের যোগ করা সময়ে। ২০ গজি গোলার মতো শটে হার মানালেন গিয়ের্মো ওচোয়াকে। কোরিয়ার সান্ত্বনা এই গোলটাই। এই জয়ের পর ৬ পয়েন্ট পেলেও এখনো বলা যাচ্ছে না, মেক্সিকো দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রেখেছে। গ্রুপ এফের হিসাবটা বেশ জটিল। তবে মেক্সিকানরা যে দুর্দান্ত ফুটবল খেলছে এই বিশ্বকাপে, শুধু দ্বিতীয় পর্বে নয়, তাদের দৃষ্টি আরও সামনেই রাখা উচিত।