টসেও ঠিক হতে পারে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় রাউন্ড!

‘কৃতঘ্ন’ না হয়ে আর উপায় নেই আর্জেন্টিনার! বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে পরশু নাইজেরিয়াকে যে হারাতেই হবে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। সেই নাইজেরিয়া, যারা গত পরশু আইসল্যান্ডকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার সম্ভাবনায় অক্সিজেন জুগিয়েছে। নকআউট পর্বে যেতে হলে অবশ্য আর্জেন্টিনাকে এই ম্যাচ জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে ক্রোয়েশিয়া-আইসল্যান্ড ম্যাচের দিকেও। একই সময়ে শুরু ওই ম্যাচে আইসল্যান্ড জিতলেই জটিল হয়ে যাবে আর্জেন্টিনার সমীকরণ।


সবচেয়ে সহজ সমীকরণ

মঙ্গলবার শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতলে আর আইসল্যান্ড না জিতলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে আর্জেন্টিনা


আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ড দুই দলই জিতলে...
দুই দলেরই পয়েন্ট হয়ে যাবে সমান (৪)। প্রথমেই দেখা হবে গোল-পার্থক্যে কারা এগিয়ে। এখানেই একটু পিছিয়ে আর্জেন্টিনা। প্রথম দুই ম্যাচে ১ গোল দিয়ে ৪ গোল খেয়েছে আর্জেন্টিনা, আইসল্যান্ড ১ গোল দিয়ে খেয়েছে ৩ গোল। দুই ম্যাচ শেষে গোল-পার্থক্যে ১ গোলে এগিয়ে আইসল্যান্ড। ব্যবধানটা ঘোচাতে আইসল্যান্ডের চেয়ে অন্তত ১ গোলের বেশি ব্যবধানে জিততে হবে আর্জেন্টিনাকে। শেষ ম্যাচে আইসল্যান্ড যদি ১-০ গোলে জেতে, আর্জেন্টিনাকে জিততে হবে কমপক্ষে ২-০ গোলে। আইসল্যান্ড ২-০ গোলে জিতলে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে জিতলেই চলবে। গোল ব্যবধান সমান হলেও বেশি গোল করায় দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেয়ে যাবে আর্জেন্টিনা।

 

জয়

ড্র

হার

গো. ব্য.

পয়েন্ট

ক্রোয়েশিয়া

+৫

নাইজেরিয়া

আইসল্যান্ড

-২

আর্জেন্টিনা

-৩

হতে পারে টসও!
শেষ ম্যাচে আইসল্যান্ড ২-১ ও আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে কিংবা আইসল্যান্ড ৩-১ ও আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে জিতলে, দুই দলেরই গোল-পার্থক্য ও মোট গোল সমান হয়ে যাবে। এই অবস্থায় শরণাপন্ন হতে হবে মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাবে। আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ডের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় সেখানেও তো সমতা। ভাগ্যনির্ধারক হিসেবে তখন আসবে ফেয়ার প্লের হিসাব। লাল-হলুদ কার্ডের সেই হিসাবে আপাতত পিছিয়ে আর্জেন্টাইনরা। তবে দুই দলের শেষ ম্যাচ শেষে ফেয়ার প্লের হিসাবেও সমতা চলে এলে শেষ ভরসা টস। মুদ্রাভাগ্যে শেষ ষোলোয় উত্তরণ নির্ধারিত হলে সেটি একটা ঘটনা হবে বটে!