এই বিশ্বকাপে এই প্রথম

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এরিকসেনও গোলের মুখ দেখেননি। ফ্রান্সের এনগোলো কান্তের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে। ছবি: এএফপি
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এরিকসেনও গোলের মুখ দেখেননি। ফ্রান্সের এনগোলো কান্তের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে। ছবি: এএফপি
>ডেনমার্কের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ফ্রান্স। এতে ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে শেষ ষোলোয় উঠল ফরাসিরা। একই গ্রুপের রানার্সআপ দল হিসেবে শেষ ষোলোয় তাদের সঙ্গী হয়েছে ডেনমার্ক

একই সময়ে দুটি ম্যাচ শুরু হওয়ায় কোনটা আগে কোনটা পরে, তা ঠিক করা মুশকিল। তবে শক্তির বিচারে পেরু-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের তুলনায় ফ্রান্স-ডেনমার্ক ম্যাচই বড়। তো, ক্রম অনুযায়ী এই ম্যাচটাকে পরে ধরলে সেটা হবে রাশিয়া বিশ্বকাপের ৩৮তম ম্যাচ। অর্থাৎ টানা ৩৭ ম্যাচের পর প্রথম গোলশূন্য ড্র দেখল এই বিশ্বকাপ। ঠিকই ধরেছেন, ফ্রান্স-ডেনমার্ক ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।

তাতে নির্ধারিত হয়েছে ‘সি’ গ্রুপ থেকে কার কী অবস্থান। নিজেদের তিনটি করে ম্যাচ শেষে এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্র তুলে নেওয়া ফরাসিদের সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ডেনমার্ক এই গ্রুপের রানার্সআপ দল। শেষ ষোলোয় তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে ক্রোয়েশিয়া। কারণ ‘ডি’ গ্রুপে শীর্ষস্থানীয় দল ক্রোয়েশিয়া আজ রাতে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ন্যূনতম ড্র করলেই তাদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত।

তবে ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল ফ্রান্স শেষ ষোলোয় কার মুখোমুখি হবে নিশ্চিত দূরে থাক, এ মুহূর্তে অনুমান করাও ভীষণ কঠিন। অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা নয়, এসব সমীকরণের নিষ্পত্তি ঘটবে আজ রাতেই। তার আগে নিজেরা গোলশূন্য ড্র করে অস্ট্রেলিয়ার শেষ ষোলোয় ওঠার সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে এই গ্রুপের দুই বড় দল ফ্রান্স ও ডেনমার্ক। পেরুর বিদায় তো আগেই নিশ্চিত হয়েছে।

ফ্রান্স নকআউট পর্বের টিকিট কেটেছে আগেই। এই ম্যাচে তাই কিলিয়ান এমবাপ্পে ও পল পগবাকে বসিয়ে রাখার পাশাপাশি একাদশে মোট ৬টি পরিবর্তন এনেছিলেন কোচ দিদিয়ের দেশাম। এই ম্যাচটা ডেনিশদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, শেষ ষোলোয় উঠতে হলে ডেনিশদের এই ম্যাচটা ন্যূনতম ড্র করতে হতো। সেই লক্ষ্য পূরণ হলেও ডেনমার্ক কিন্তু প্রথমার্ধেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল।

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের শট ৩১ মিনিটে রুখে দেন ফরাসি গোলরক্ষক স্টিভ মানদানদা। ৩৩ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে মাঠে নামার রেকর্ড গড়েছেন এই ম্যাচে। প্রথমার্ধে অলিভার জিরু-গ্রিজমান-ডেমবেলেদের আক্রমণভাগ তুলনামূলক বাজে খেলেছে। সেভাবে সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি দেশামের এই ‘ত্রয়ী’ আক্রমণভাগ। বরং দ্বিতীয়ার্ধে তারা বেশি ভালো খেলেছে। শুরু থেকেই ডেনিশ রক্ষণকে চাপে রেখেছিলেন গ্রিজমান-ডেমবেলেরা। মাঝমাঠ থেকে দারুণ এক দৌড়ে ডেনিশ রক্ষণভাগ একবার কাঁপিয়েও দিয়েছেন গ্রিজমান।

দ্বিতীয়ার্ধে ডেনিশ রক্ষণে চাপ বাড়িয়েছে ফ্রান্স। গ্রিজমানের বদলি হয়ে নামা নাবিল ফেকির ৮২ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন। ডেনিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মেইকেলের সোজাসুজি শট নেওয়ায় গোল করতে পারেননি। ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে ডেনিশ বক্সের আশপাশে ভীষণ চাপ সৃষ্টি করলেও গোল আদায় করতে পারেনি ফরাসি আক্রমণভাগ।