বোলিং দিয়ে আফসোসই বাড়াল বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ বোলিংয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। ছবি: এএফপি
দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ বোলিংয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। ছবি: এএফপি
জ্যামাইকা টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ১২৯ রানে। বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৩৫ রানের লক্ষ্য। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব, ৩৩ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। টেস্টে বিদেশের মাটিতে এটাই বাংলাদেশের কোনো বোলারের সেরা বোলিং।

সাকিব আল হাসান ধারাবাহিক উইকেট পাচ্ছেন, তবুও মুখে হাসি নেই। বোলিংয়ে বাংলাদেশ যত ভালো করছে ততই যেন আফসোসটা বাড়ছে। আফসোস ব্যাটিং নিয়ে। বাজে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে না রেখে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ যদি স্কোরটা বড় করতে পারত, দ্বিতীয় ইনিংসের দুর্দান্ত বোলিংটা ভালোভাবে কাজে লাগত।

এখনো ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়নি। বাংলাদেশের অসাধারণ বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট ১২৯ রানে। সাকিবদের লক্ষ্য ৩৩৫। প্রথম ইনিংসে যাদের স্কোর ১৫০ পেরোয় না, সেই বাংলাদেশ বিশাল এ লক্ষ্য তাড়া করবে কীভাবে? এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডও তো নেই বাংলাদেশের। ২০০৯ সালে সর্বোচ্চ যে ২১৫ তাড়া করে জিতেছিল, সেটিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তবে ক্যারিবীয়দের সেই দলটা মূল দল ছিল না।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবার ব্যাটসম্যানরা যতই লজ্জার রেকর্ড গড়ুক, বোলাররা ভালো নম্বর পাবেন। লড়াইয়ের ছাপ তাঁদের মধ্যে যা একটু খুঁজে পাওয়া গেছে। উইন্ডিজের ২০ উইকেট তুলে নিতে পেরেছেন, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের বোলারদের বড় সাফল্য। আটটি সেশনের যে তিনটিতে বাংলাদেশ দাপট দেখিয়েছে তিনটিই বোলারদের সৌজন্যে।

দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ বোলিংয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। আজ দিনের চতুর্থ ওভারে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে ডেভন স্মিথকে (১৬) ফিরিয়েছেন। বাংলাদেশ অধিনায়কের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে দ্রুত ফিরে গেছেন কাইরন পাওয়েল (১৮) ও কেমো পল (১৩)। স্মিথ-পলকে যেভাবে স্টাম্পড করেছেন নুরুল হাসান, সাকিব নিশ্চয়ই তরুণ উইকেটকিপারকে ধন্যবাদ দেবেন। সকালে ৩২ রানের মধ্যে যে ৩ উইকেট পড়েছে প্রতিটিই সাকিবের।

তাইজুল ইসলামের বলে ১৩ রান করা শাই হোপ এলবিডব্লিউ হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৬৪। রোস্টন চেজ-শিমরন হেটমায়ারের ষষ্ঠ উইকেট জুটি ৩৩ রান যোগ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং বিপর্যয় সামলানোর চেষ্টা করেছে। হেটমায়ারকে (১৮) এলবিডব্লিউ করে অবশ্য জুটিটা আর দীর্ঘ হতে দেননি আবু জায়েদ।

লাঞ্চের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগোতে পারেনি বেশি দূর। বাকি ৪ উইকেটে ২১ রান যোগ করে অলআউট ১২৯ রানে। এই চার উইকেটের দুটিই নিয়েছেন সাকিব। বাকি দুটি মেহেদী হাসান মিরাজের। সাকিব ৩৩ রানে পেয়েছেন ৬ উইকেট, যেটি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের কোনো বোলারের সেরা বোলিং।

বোলিং অসাধারণ হয়েছে। তবুও স্বস্তি নেই বাংলাদেশের। ব্যাটসম্যানরা যে ব্যাটিং করেছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বোলারদের সাফল্য ক্যারিবিয়ান সাগরে মিলিয়ে যেতে যে সময় লাগছে না!