'ফুটবলের এই অর্জনে গর্বিত হওয়া উচিত দেশবাসীর'

জামাল-জেমি: এই যুগলেই ফুটবল ইতিহাস বাংলাদেশের
জামাল-জেমি: এই যুগলেই ফুটবল ইতিহাস বাংলাদেশের
>কাতারকে হারিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল দল। কোচ জেমি ডে বলছেন, এশিয়ান গেমসের ফুটবলের নক আউট পর্বে ওঠায় দেশের মানুষের গর্ব করা উচিত।

কাতারকে ১-০ গোলে হারিয়ে এশিয়ান গেমস ফুটবলে এই প্রথম দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা। এই রাতে ফুটবলারদেরই তো মন ভরে আনন্দ করার কথা! সেটি তাঁরা করলেনও। সব নিয়ম ভেঙে সংবাদ সম্মেলনকক্ষে ঢুকে কয়েকজন ফুটবলার ধরলেন গানও। 

এই দৃশ্য দেখে দারুণ খুশি বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। নিজে কোনো কৃতিত্ব নিলেন না। সব প্রশংসা বরাদ্দ রাখলেন ফুটবলারদের জন্য, ‘ছেলেরা যা খেলেছে, আমি খু্ব খুশি। গত কয়েক মাসে ওরা অনেক কষ্ট করেছে। কখনো অনুশীলন ফাঁকি দেয়নি। নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে ওরা। এই জয় সেটিরই ফল।’
জেমি ডে যোগ করেন, ‘আজ আমি ভীষণ আনন্দিত, এশিয়াডে আগে কখনো দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ দল। আজ সেই অর্জন ধরা দিয়েছে। আর এই অর্জনে আমি বলব, দেশবাসীর গর্বিত হওয়া উচিত।’
জাকার্তার প্যাট্রিয়ট স্টেডিয়ামে সত্যিই রোববার রাতটা বাংলাদেশের জন্য গর্বেরই। যে কাতারকে আগে কখনো হারাতে পারেনি বাংলাদেশ, সেই কাতারের অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। তবে এখনই দ্বিতীয় রাউন্ড নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবতে রাজি নন বাংলাদেশ কোচ। এই রাউন্ডে ফল যা–ই হোক, প্রতিপক্ষ যারাই আসুক, ডে মনে করেন বড় প্রাপ্তিটা এসে গেছে। সঙ্গে সমালোচকদের দিয়েছেন জবাব, ‘এই দল নিয়ে দেশে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এরা কিছু পারবে না ইত্যাদি। কিন্তু আমরা সেটির জবাব দিয়েছি। দ্বিতীয় রাউন্ডে যা–ই হোক, আমরা লক্ষ্যে পৌঁছেছি।’
জয়সূচক গোলদাতা অধিনায়ক জামাল ভূইঁয়া আনন্দে আত্মহারা। সংবাদ সম্মেলনে কোচের পাশে বসে বলেন, ‘গোল করার পর আমি বুঝতে পারছিলাম না ঠিক কী ঘটেছে মাঠে। আমার মধ্যে কোনো অনুভূতি কাজ করছিল না। এটা ঠিক, গোলটা আমিই করেছি। তবে এই গোল আমার একার নয়, সবারই। মূলত আত্মবিশ্বাসই আমাদের এখানে এনেছে।’
জামালদের বিরতির সময় কোচ বলেন, ‘কাতারের অনেক টাকা আছে। ওদের অনেক সুযোগ-সুবিধা। কিন্তু তোমাদের আছে মনোবল।’ সেই মনোবলেরই জয় হলো। দেশের ফুটবলে অনেক খারাপ খবরের মধ্যেই ধরা দিল একটু আনন্দের উপলক্ষ।
আজ রাতটা আনন্দে ভেসে যেতেই পারেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা!