সাকিব-তামিমকে ছাড়া জয়টা বিশেষ কিছুই

সাকিব-তামিমকে ছাড়া বাংলাদেশের জয়টা হার্শা ভোগলের কাছে বিশেষ কিছুই।
সাকিব-তামিমকে ছাড়া বাংলাদেশের জয়টা হার্শা ভোগলের কাছে বিশেষ কিছুই।
>২০১৩ সালের পর এই প্রথম দলের দুই ভরসা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে ছাড়া মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। বিখ্যাত ভাষ্যকার হার্শা ভোগলের মতে, এই দুই স্তম্ভকে ছাড়া পাকিস্তানকে হারানোর ব্যাপারটি বিশেষ কিছুই।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে টসের সময়ই শঙ্কার কালো ছায়া বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখে-মুখে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সাকিব আল হাসান খেলবেন না! আঙুলের চোট বেড়ে যাওয়ায় দেশে ফেরার বিমান ধরেছেন তিনি। অঘোষিত সেমিফাইনালে পরিণত ম্যাচে কী তাহলে কোনোই আশা নেই! সাকিবের মতো একজন অলরাউন্ডারের ‘বদলি’ খুঁজে বের করা যে সব সময়ই কঠিন, স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্য দলও সেটা বারবারই মনে করিয়ে দিয়েছে। সাকিবের মতো খেলোয়াড়েরা যে দুজনের খেলা খেলে দেন!

কেবল সাকিবই নন, এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই কবজিতে চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সে ম্যাচে দলের প্রয়োজনে তাও এক হাতে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন কিছুক্ষণের জন্য, কিন্তু এর পর দেশেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। তামিমের অনুপস্থিতিতে দলের ওপেনিং ব্যাটিংটা যে বড় ছন্নছাড়া দেখাচ্ছে, সেটি তো নতুন করে বলার কিছু নেই। কাল অনুপস্থিতির তালিকায় যোগ হলেন সাকিব। সাকিব-তামিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এক সঙ্গে বাংলাদেশের একাদশে শেষবার ছিলেন না তাও প্রায় পাঁচ বছর হতে চলল।

এই দুই তারকাকে ছাড়া দলটাকে ছন্নছাড়া দেখালেও পাকিস্তানকে শেষ পর্যন্ত হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেটি সম্ভব হয়েছে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সাহসী অধিনায়কত্ব, মুশফিকুর রহিম আর মোহাম্মদ মিঠুনের অনবদ্য ব্যাটিং, মোস্তাফিজ-মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে। গোটা একটা দল হয়ে বাংলাদেশের বাকি খেলোয়াড়েরা খেললেন, দারুণ জয় তুলে নিলেন। বাংলাদেশ পৌঁছে গেল টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে।

ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক হার্শা ভোগলের দারুণ লেগেছে ব্যাপারটি। দিনের পর দিন তিনি বাংলাদেশকে দেখছেন খুব কাছ থেকে। কত ম্যাচে তিনি বাংলাদেশের ভেঙে পড়ার সাক্ষী হয়েছেন, কত ম্যাচেই তো তিরে এসে তরী ডুবতে দেখেছেন। দলটাকে খুব ভালো করেই চেনেন তিনি। সে কারণেই সাকিব-তামিমবিহীন বাংলাদেশের এই জয় বিশেষ কিছুই মনে হচ্ছে তাঁর কাছে, ‘সাকিব-তামিমকে ছাড়া পাকিস্তানকে হারানো বিশেষ কিছুই।’

এই জয়ে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হার্শা টুইটারে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ দারুণ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এই ম্যাচে বোলিং করেছে, ফিল্ডিংও হয়েছে বেশ চনমনে। ফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিমের কল্যাণে ১২ রানে ৩ উইকেট থেকে স্কোরটাকে ২৩৯-এ নিয়ে গেছে।’
হার্শার মতো বাংলাদেশের মানুষের কাছেও এটি বিশেষ কিছুই।