ভারতকে ১৭২ রানে গুটিয়ে দিল যুবারা
>অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে উঠতে ভারতের বিপক্ষে ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাটিং করে ভারত গুটিয়ে গেছে ১৭২ রানে। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল, ১৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয় কথাটা ভুল বলেননি। কাল সাংবাদিকদের বলছিলেন, ‘আমাদের যে বোলিং লাইনআপ, আমাদের বিপক্ষে রান করা একটু কঠিন।’ কতটা কঠিন সেটি আজ ভারতীয় যুবারা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন। গ্রুপ পর্বে ইনিংসপ্রতি প্রায় ৩০০ রান করা ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল আজ ৪৯.৩ ওভারে অলআউট ১৭২ রানে।
টুর্নামেন্টে সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ, টুর্নামেন্টজুড়ে ব্যাটিংটাও হয়েছে দুর্দান্ত—মেঘলা আবহাওয়া থাকার পরও টস জিতে ব্যাটিং নিতে এটিই হয়তো উৎসাহিত করেছে ভারতীয় অধিনায়ককে। কিন্তু কন্ডিশনটা যে দুর্দান্ত শুরু এনে দেওয়ার জন্য সহায়ক নয়, মাত্র ১ রানে আউট হয়ে সেটি বুঝিয়েছেন গ্রুপ পর্বে আরব আমিরাতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ভারতীয় ওপেনার দেবদূত পাদিকাল। শুরুতেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেওয়ার কারিগর বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।
ভারতীয় যুবাদের ২০০ রানও করতে না দেওয়ার মূল কারিগর আসলে দুই বাঁহাতি পেসার শরিফুল ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। সবচেয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন শরিফুল। ১০ ওভার বোলিং করে এক মেডেনে ১৬ রানে দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর মৃত্যুঞ্চয় ৯.৩ ওভারে ২৭ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
৩ রানে ওপেনার দেবদূতকে হারানো ভারতের সবচেয়ে লম্বা জুটিটা হয়েছে অঞ্জু রাওয়াত-ইয়াশভি জইশওয়ালের দ্বিতীয় উইকেটে। দুজনের ৬৩ রানের জুটি ভাঙে তৌহিদ হৃদয়ের অফ স্পিন। হৃদয়ের অফ স্পিন আর রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিন বড় স্কোর গড়তে দেয়নি ভারতীয় মিডঅর্ডারকে। বাংলাদেশের দুই স্পিনারের যুগলবন্দীতে ভারত ৭৭ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। দুই স্পিনার নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটা সময় ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ১০০ করা নিয়েই ছিল টানাটানি! আয়ুশ বাদোনি-সামীর চৌধুরীর ষষ্ঠ উইকেট জুটি ৫৯ রান যোগ করায় এ ‘চ্যালেঞ্জ’টা উতরে গেলেও ১৭২ রানের বেশি ভারত করতে পারেনি।
বাংলাদেশের বোলাররা নিজেদের কাজটা ভালোভাবেই করেছেন। ভারতকে হারিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে নামতে হলে এখন ব্যাটসম্যানরা তাঁদের কাজটা ঠিকঠাক করলেই হয়।