মিলিকও পেলেন ছিনতাইকারীর 'ভালোবাসা'

ম্যাচ শেষ না করতে পারার হতাশার পর ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতাও পেতে হলো মিলিককে। ছবি: রয়টার্স
ম্যাচ শেষ না করতে পারার হতাশার পর ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতাও পেতে হলো মিলিককে। ছবি: রয়টার্স
>নাপোলির খেলোয়াড়দের এমন পরিস্থিতিতে পড়া নতুন কিছু নয়। ইনসিনিয়ের ঘটনা তো জানাই হলো, এর আগে ২০১৩ সালে দলের অধিনায়ক ও রেকর্ড গোলদাতা মারেক হামসিকও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন।

‘পরের ম্যাচে আমাদের জন্য একটা গোল করবেন!’

ভক্তদের এমন আবদার শুনতে হয়েছিল লরেঞ্জো ইনসিনিয়েকে। ভালোবাসার টানে নাপোলির হয়ে গোল করেছেনও ইনসিনিয়ে। গত কিছুদিন সিরি ‘আ’র ভয়ংকরতম ফরোয়ার্ডদের একজন হয়ে উঠেছেন। তবে দুই বছর আগে যারা তাঁকে এভাবে গোল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, তারা সাধারণ কোনো সমর্থক ছিলেন না। ইনসিনিয়ে ও তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে মূল্যবান যা যা নেওয়া সম্ভব সব ছিনিয়ে নিয়েই ওই আবদার করেছিলেন ছিনতাইকারী। ক্লাবের প্রতি ভালোবাসাও পেশাগত দায়িত্ব থেকে একচুল নড়াতে পারেনি তাদের। হোক ছিনতাই, পেশা তো!

গতকাল আরও একবার নাপোলি সমর্থকদের চোখের মণি হয়েছেন ইনসিনিয়ে। লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে গোল করেছেন ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড। মাঠ থেকে উঠিয়ে নেওয়ায় ডাগ আউট থেকে সে গোল উদ্‌যাপন করতে হয়েছে সতীর্থ ফরোয়ার্ড আরকাদিউসজ মিলিককে। আর ম্যাচ শেষে বাড়ি ফেরার পথেই পেলেন ইনসিনিয়ের মতো ‘ভালোবাসা’। ফেরার পথে দুই মোটরসাইকেল আরোহী তাঁর গাড়ি থামিয়েছে। অস্ত্রের মুখে ১৮ হাজার পাউন্ডের হাতঘড়িটা নিয়ে গেছে তারা।

নেপলসের এক পত্রিকা জানিয়েছে, রাত দুইটায় ভারকাতুরো দিয়ে যাচ্ছিলেন মিলিক। এমন অবস্থায় দুই ছিনতাইকারী এসে তাঁর গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। মিলিক থামতে বাদ্য হলে, একজন অস্ত্র নিয়ে মিলিককে মূল্যবান যা কিছু আছে সব দিয়ে দিতে বলেন। রোলেক্স ডেটোনা ঘড়িটা বুঝে পেয়েই চলে যান দুজন। নাপোলির খেলোয়াড় বলে অক্ষত অবস্থাতেই ছাড় পান মিলিক।

নাপোলির খেলোয়াড়দের এমন পরিস্থিতিতে পড়া নতুন কিছু নয়। ইনসিনিয়ের ঘটনা তো জানাই হলো, এর আগে ২০১৩ সালে দলের অধিনায়ক ও রেকর্ড গোলদাতা মারেক হামসিকও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন। আর তাঁর স্ত্রী এমন ভালোবাসা পেয়েছেন এরও দুই বছর আগে।