ভুটানকে হারিয়ে আরও একটা ফাইনাল খেলার হাতছানি

আজ সকালে থিম্পুতে ফুরফুরে মেজাজে বাংলাদেশের মেয়েরা। ছবিঃ বাফুফে
আজ সকালে থিম্পুতে ফুরফুরে মেজাজে বাংলাদেশের মেয়েরা। ছবিঃ বাফুফে
>

অনূর্ধ্ব ১৮ মেয়েদের সাফ ফুটবলে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আজ সন্ধ্যায় স্বাগতিক ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময়ে খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়।

ভেন্যু এক , প্রতিপক্ষও একই। টুর্নামেন্টটাই শুধু আলাদা। গত ১৬ আগস্ট থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৫ সাফের সেমিফাইনালে স্বাগতিক ভুটানকে পাঁচ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আজ অনূর্ধ্ব-১৮ মেয়েদের সাফ ফুটবলের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সেই ভুটান। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হবে খেলা। এর আগে দিনের প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে নেপাল।

গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয় ১৭-০ গোলে। পরের ম্যাচে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছে সেমিফাইনালে। আর ভুটান প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৪-০ গোলে হারলেও মালদ্বীপকে হারিয়ে দেয় ১৩-০ গোলে।

ভুটানে মেয়েদের ফুটবলের উন্নতিতে দুই বছর ধরে বড় ভূমিকা রেখে চলেছেন কোরিয়ান কোচ সুং জে লি। ঘরের মাঠের বাড়তি সুবিধাও আজ নিতে চাইবেন ভুটানি মেয়েরা। কিন্তু বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন অবিচলভাবে তাকিয়ে আছেন জয়ের দিকেই। ভুটান থেকে টেলিফোনে কাল আত্মবিশ্বাসের সুরেই বলছিলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি ফাইনালে খেলতে। চ্যাম্পিয়ন হতে। ফাইনালে ওঠার লড়াইটা মেয়েরা লড়বে তাদের সর্বশক্তি দিয়েই। আশা করি জিতেই মাঠ ছাড়ব আমরা।’

অতীতের পরিসংখ্যানও বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখে। সিনিয়র ও বয়সভিত্তিক কোনো টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশ কখনো ভুটানের কাছে হারেনি। ২০১০ কক্সবাজারে মেয়েদের সাফে প্রথমবার ভুটানকে ৯-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে একই টুর্নামেন্টে কলম্বোতে হারায় ১-০ গোলে। নেপালে ২০১৫ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ভুটানকে উড়িয়ে দেয় ১৬-০ গোল। এরপর গত বছর ঢাকায় সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে হারায় ৩-০ গোলে। সর্বশেষ গত আগস্টে একই টুর্নামেন্টে থিম্পুতে ভুটানকে হারায় ৫-০ গোলে।

মেয়েদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে আশাবাদী ছোটনের একটু যা উদ্বেগ, তা স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্নার চোট নিয়ে। গত দুই দিন কোনো অনুশীলন করেননি নেপালের বিপক্ষে হাঁটুতে চোট পেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ ছেড়ে যাওয়া স্বপ্না। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ এবং নেপালের সঙ্গে ১ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা স্বপ্না। তাঁকে পেতে আজ তাই সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন কোচ, ‘স্বপ্না দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। প্রথম ম্যাচ থেকেই দুর্দান্ত খেলছে। কিন্তু সে পুরোপুরি ফিট না হলে ঝুঁকি নেব না। অবশ্য হাতে এখনো সময় আছে। আশা করি সে ফিট হয়ে উঠবে। শেষ পর্যন্ত স্বপ্নাকে না পাওয়া গেলে কী আর করা। বিকল্প খেলোয়াড় রয়েছে আমার হাতে।’

দলের আরেক স্ট্রাইকার মার্জিয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ গোল করলেও নেপাল ম্যাচে বেঞ্চে বসে ছিলেন। আজ খেলতে পারেন মার্জিয়া। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলতে নেমে নেপালের বিপক্ষে দারুণ একটা গোল করেছেন কৃষ্ণা সরকার। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মৌসুমী-স্বপ্নারা আরেকটি জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে চান আজ।