মানুষের মধ্যে সেরা হতে চান দিবালা

আবারও ফর্মে ফিরতে শুরু করেছেন দিবালা। ছবি: রয়টার্স
আবারও ফর্মে ফিরতে শুরু করেছেন দিবালা। ছবি: রয়টার্স

মৌসুম শুরু হওয়ার পর একটু শঙ্কা জেগেছিল তাঁকে ঘিরে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আবির্ভাবের পর একটু আড়ালেই পড়ে গিয়েছিলেন পাওলো দিবালা। একে তো রোনালদোর মতো মহা তারকা হাজির হয়েছেন, তার ওপর আবার মারিও মানজুকিচের সঙ্গেই বোঝাপড়াটা জমেছিল রোনালদোর। একাদশ থেকেও বাদ পড়তে হয়েছিল দিবালাকে। কিন্তু ধীরে ধীরে নিজের মূল্য বোঝাচ্ছেন দিবালা। রোনালদোর অনুপস্থিতিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বশেষ ম্যাচে পেয়েছেন হ্যাটট্রিক। নিজের লক্ষ্যটাও জানিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড, মানুষদের মধ্যে সেরা ফুটবলার হতে চান।

সেরা হওয়ার আশা করতেই পারেন দিবালা। বহুদিন ধরেই ফুটবলের ভবিষ্যৎ ভাবা হচ্ছে তাঁকে। নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পেদের কারণে দুই মৌসুমে একটু আড়ালে চলে গেছেন। তবু মেসি-রোনালদোর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে যাদের নাম নেওয়া হয়, সে ছোট তালিকায় অনায়াসে জায়গা পান দিবালা। গঞ্জালো হিগুয়েইন কিংবা বর্তমানে রোনালদোর মতো ফরোয়ার্ডরা দলে থাকার পরও জুভেন্টাসের জার্সিতে ১৪৭ ম্যাচে ৭২ গোল করেছেন দিবালা। ২৪ বছর বয়সী দিবালা ও ১৯ বছর বয়সী এমবাপ্পেকেই ভবিষ্যৎ মহাতারকা বলছেন আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো।

দিবালা অবশ্য মনে করেন যত দিন রোনালদো-মেসি খেলবেন, তত দিন কারও পক্ষে সেরা হওয়া সম্ভব না, ‘মেসি ও রোনালদো ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে যেতে হবে তেমন কিছু হওয়ার জন্য (কারও পক্ষে সেরা হওয়া)। অবশ্য তারা তো এখনো অবিশ্বাস্য জিনিস করে দেখাচ্ছেন।’ লা গেজেত্তা দেল্লো স্পোর্তকে জানিয়েছেন দিবালা। সে সঙ্গে আরও বলেছেন, ‘মেসি ও রোনালদো স্বাভাবিকের মধ্যে পড়েন না। আমার লক্ষ্য হলো মানুষদের মধ্যে সেরা হওয়া।’ মেসি ও রোনালদোর ভক্ত কূলের সুর শোনা যাচ্ছে দিবালার কণ্ঠে। এক দশকেরও বেশি অবিশ্বাস্য ফুটবল উপহার দেওয়ায় এ দুজনকে ভালোবেসে যে অন্য গ্রহের প্রাণী বলে সম্বোধন করা হয়।

মেসি-রোনালদোকে না হয় টপকানোর আশা করছেন না। কিন্তু মানুষদের মধ্যে সেরা হওয়ার জন্যও দিবালাকে পরিশ্রম করতে হবে অনেক। দিবালার অবশ্য এতে আপত্তি নেই। ছোটবেলা থেকেই তো সেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, ‘যখন ছোট ছিলাম, ক্যাম্প ফায়ারের সামনে বসে আমি স্বপ্নের কথা বলতাম। আমি স্বপ্ন দেখতাম একদিন ব্যালন ডি’অর জিতব। যদি ভালো হতে চান, আপনাকে লক্ষ্য বড় করতে হবে।’

সেরা হওয়ার দৌড়ে কাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মানেন দিবালা? বিশ্ব রেকর্ড গড়ে দলবদল করা নেইমার? পেলের পর দ্বিতীয় টিনএজার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করা এমবাপ্পে, নাকি অন্য কেউ? দিবালার উত্তরে চমক থাকছেন, ‘অন্য মানুষদের মাঝে আমি ইসকোকে পছন্দ করি কারণ সে কখনো পা থেকে বল হারাতে দেয় না। অবশ্য নেইমার ও এমবাপ্পেও দুর্দান্ত খেলোয়াড়।’