সাকিবের চোটে ফিজিওর ভূমিকা কী ছিল?

সাকিবের চোটে ফিজিওর গাফিলতি ছিল না?
সাকিবের চোটে ফিজিওর গাফিলতি ছিল না?

সাকিব আল হাসানের চোট বড় এক ধাক্কা দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে। তাঁর মানের এক অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতি পূরণ করা সব সময়ই কঠিন। কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতি নয়, বরং যেভাবে তাঁর চোটের বিষয়টি ক্রিকেট বোর্ড সামলেছে সেটিই বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। এশিয়া কাপের মাঝপথে দেশে এসে দ্রুত চিকিৎসা না নিলে হয়তো আর কখনোই সাকিব বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারতেন না।

চোট নিয়েও এশিয়া কাপ খেলেছেন সাকিব। ব্যথা নাশক ইনজেকশন ব্যবহার করেই খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্যাপারটা বিপজ্জনক হয়ে যাচ্ছে কি না সেটি দেখার কথা ছিল দলের ফিজিওর। কিন্তু সেদিক থেকে কোনো আপত্তি না ওঠায় পাকিস্তান ম্যাচের আগ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন সাকিব। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আর পারেননি। দেশে ফিরতে হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ না খেলেই।
আঙুলের অস্ত্রোপচার করাতে যেদিন সাকিবের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা, সেদিন দেখেন চোট পাওয়া হাতে প্রচণ্ড ব্যথা। ব্যথানাশক খেয়েও লাভ হচ্ছে না! গায়েও জ্বর জ্বর ভাব। দ্রুত অ্যাপোলো হাসপাতালে গেলে জানতে পারেন, চোট পাওয়া বাঁ হাতের কড়ে আঙুল থেকে সংক্রমণ (ইনফেকশন) ছড়িয়ে পড়েছে। পুঁজ জমে ভয়াবহ অবস্থা। পুঁজ সময়মতো না বের করা গেলে হয়তো হাতটাই অকেজো হয়ে যেতে পারত সাকিবের।
এমন পরিস্থিতির পর ফিজিওর দিকেই অভিযোগের তির ছুটে গেছে। কারণ, চোট যে এমন অবস্থায় রূপ নিচ্ছে সেটা তো তাঁর বোঝার কথা। সাকিব যে বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছিলেন, তার দায় এড়াতে পারেন না থিহান চন্দ্রমোহন। বিসিবি শিগগির তাঁর কাছে কারণ জানতে চাইবে, কেন সাকিবের আঙুলের অবস্থা ভালোভাবে বুঝতে পারেননি তিনি। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানাচ্ছেন ফিজিও সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছেন, ‘একজন পেশাদার ফিজিও তো চাইবেই তাঁর স্কোয়াডের সবাই সুস্থ থেকে পারফর্ম করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁর যে ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা থাকে সেই অনুযায়ী কাজ করে থাকে। আমাদের যে চোটগুলো হচ্ছে সেগুলো কোনো কোনো ক্ষেত্রে সময় লাগছে। সময় লাগার কারণেই পরবর্তী সিরিজ গুলোতে তাদের বিবেচনা করা হচ্ছে না এবং আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ’

সামনে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। এরপরই আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। সাকিবের সঙ্গে সঙ্গে তামিম ইকবালকেও পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে বাংলাদেশকে। সিনিয়রদের মধ্যে নতুন কোনো চোট ভোগাতে পারে পরবর্তীতে। প্রধান নির্বাহীর দাবি এটা মাথায় রেখেই দল সাজানো হবে, ‘ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সব সময় চিন্তা করে ক্রিকেট বোর্ড। এসব দেখার জন্য আমাদের আলাদা বিভাগ রয়েছে, ফিজিওরা আছেন। এটা নিয়ে কাজ করছেন। শুধু মাত্র জাতীয় দল নয়, এইচপি ও এইজ গ্রুপের যে সব ক্রিকেটার রয়েছে, তাদের নিয়ে একটা পরিকল্পনা মেনেই কাজ করা হয়। সামনে যেহেতু দুটি ব্যাক টু ব্যাক সিরিজ হচ্ছে, এর আগে আমাদের এনসিএল আছে। যাদের এর মধ্যে পাওয়া যায় তাদের নিয়েই নির্বাচকেরা কাজ করবে।’