সৌম্য ও মিঠুন কেন আফগান লিগে খেলতে পারলেন না?

আফগান লিগে না খেলে সৌম্য-মিঠুন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মনোনিবেশ করুন, চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
আফগান লিগে না খেলে সৌম্য-মিঠুন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মনোনিবেশ করুন, চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
>আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ (এপিএল) খেলতেযাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুনের। কিন্তু পেসার তাসকিন আহমেদকে অনাপত্তিপত্র দিলেও সৌম্য ও মিঠুন তা পাননি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের কথা চিন্তা করেই সৌম্য ও মিঠুনকে আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী।

আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ এপিএলে খেলার সুযোগ পেয়েও সেখানে খেলতে যাওয়া হয়নি সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুনের। বিসিবি তাদের অনাপত্তিপত্র দেয়নি। সে কারণেই তারা দুবাইয়ে (এপিল হচ্ছে দুবাইয়ে) না গিয়ে খেলছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগে। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের অনাপত্তিপত্র কেন দিল না বিসিবি? যেখানে বোর্ডের অনাপত্তিপত্র নিয়েই খেলতে গেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ!

এপিলে কান্দাহার নাইটসের হয়ে খেলার কথা ছিল সৌম্য, মিঠুনের। দুজনেরই চুক্তির অঙ্ক ছিল ২০ হাজার ডলার করে (১৬ লাখ টাকা)। সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজের কারণেই বিসিবি তাদের অনাপত্তিপত্র দেয়নি। বোর্ডের চাওয়া এই সিরিজের আগে সৌম্য-মিঠুন ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই মন দিন।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীও সেটিই বলেছেন, ‘আমাদের অনেক দিন ধরেই টেস্ট খেলা হচ্ছে না। আমাদের লঙ্গার ভার্সনের প্লেয়ারদের কিছু বিষয় দেখার আছে। নির্বাচকেরা চাচ্ছে, আমাদের যে কয়জন সম্ভাব্য ক্রিকেটার আছে, তাঁরা লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেট খেলুক। আর আমাদের জাতীয় ক্রিকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা আগামী সিরিজে খেলতে পারে, সম্ভাব্য তালিকায় আছে, তাদের আমরা দেখতে চাচ্ছি।’

কিন্তু সদ্যই চোট কাটিয়ে ওঠা তাসকিনকে কেন আফগান লিগে খেলতে পাঠানো হলো এ প্রশ্নের উত্তর আগেই দিয়েছিলেন বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনস প্রধান আকরাম খান, ‘ও তো ফাস্ট বোলার, দীর্ঘদিন চোটে ভুগেছে। মাত্রই চোট থেকে ফিরেছে। দেখি ওখানে কেমন করে। হয়তো দু-এক ম্যাচ খেলে তাকেও ফিরে আসতে হতে পারে।’

আগামী ১৬ অক্টোবর তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে পা রাখবে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হবে ১৫ অক্টোবর। ২১ অক্টোবর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে প্রথম ওয়ানডে। পরের দুটি ওয়ানডে চট্টগ্রামে—২৪ ও ২৬ অক্টোবর। ৩ নভেম্বর থেকে প্রথম টেস্ট সিলেটে। সিরিজের শেষ টেস্ট শুরু হবে ১১ নভেম্বর থেকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে