টস-ভাগ্যে গোল্ডেন বল হারালো সিরাত

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে গতকাল ম্যাচ শেষে কাঁদছেন সিরাত জাহান স্বপ্না। ছবি ভুটান ফুটবল ফেডারেশন
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে গতকাল ম্যাচ শেষে কাঁদছেন সিরাত জাহান স্বপ্না। ছবি ভুটান ফুটবল ফেডারেশন
>সিরাত জাহান স্বপ্না গোল করেছে ৭টি। নেপালের রেখা পাউডেলের গোলও ৭টি। গোল্ডেন বল নির্বাচন করতে গিয়ে তাই টস করতে হলো। তাতেই কপাল পুড়েছে স্বপ্নার! সোনার বলটা গেছে নেপালে!

সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর বড় একটা নাটকই হয়েছে থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে। নাটকটা, প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বল কে পাবে, সেটি নিয়েই। সেই নাটকের ট্র্যাজেডি কুইন বাংলাদেশের সিরাত জাহান স্বপ্না।

সিরাত জাহান এই টুর্নামেন্টে গোল করেছে ৭টি। কিন্তু নেপালের রেখা পাউডেলের গোলের সংখ্যাও ৭। একটি গোল্ডেন বল কে পাবে, সেটি নির্ধারণ করতে গিয়ে হয়েছে টস। তাতে হেরে পুরস্কারটা ছাড়াই দেশে আসতে হয়েছে সিরাতকে। তবে ব্যক্তিগত এই পুরস্কার নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যথাই নেই। দেশকে চ্যাম্পিয়নস করাতে পারাতেই সিরাতের যত আনন্দ!

প্রথমে অবশ্য জানা গিয়েছিল সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে সিরাতের নামই ঘোষণা করা হয়েছিল। তার নামের পাশে গোল লেখা ছিল আটটি। কিন্তু পর মুহূর্তেই জানা যায় তার গোল সাতটি। পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি গোল লেখা হয়েছে সানজীদার নামে। সেদিন সানজীদার শটেই শেষ মুহূর্তে হেড করেছিল সিরাত। বল যে আগেই গোললাইন অতিক্রম করেছে, সেটি না জেনেই।

টসের সময়ও নাটক হয়েছে। প্রথমে টসে জিতেছিল সিরাতই। কিন্তু সেটি মানতে চায়নি নেপালি প্রতিদ্বন্দ্বী। পরের বার টসের ফল যায় সিরাতের প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষেই।
সিরাত অবশ্য বিরক্ত এই টসের নাটক নিয়েই, ‘প্রথমে জানলাম আমিই সর্বোচ্চ গোলদাতা। কিন্তু পরে শুনি আমার গোল সাতটি ও নেপালের রেখারও গোল সাতটি। তাই টস হলো। টসেও প্রথমে আমি জিতেছিলাম। কিন্তু রেখা মানতে রাজি না হওয়ায় দ্বিতীয় টসে ও জিতে যায়। নেপালি প্রতিদ্বন্দ্বী কেন টস মেনে নিল না সেটিও বুঝতে পারিনি।’

সিরাত না জানলেও কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানিয়েছেন, ম্যাচ কমিশনারের হাত থেকে কয়েন ফসকে পড়ে গেছে এই অভিযোগ তুলেই নাকি রেখা পাউডেল প্রথম টসের ফল মানতে চায়নি।
সোনার জুতা না পাওয়ার আফসোস যদি কিছুটা থেকেও থাকে, সেটি সিরাত ভুলতে পারে নিজের পারফরম্যান্সর কথা মনে করেই। পুরো টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত খেলেছে রংপুরের এই মেয়ে।