সাকিব শোনালেন সুখবর

মেলবোর্নের হাসপাতালে সাকিব। ছবি: ফেসবুক
মেলবোর্নের হাসপাতালে সাকিব। ছবি: ফেসবুক
>মেলবোর্নের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গ্রেগ হয়ের তত্ত্বাবধানে চলছে সাকিবের হাতের চিকিৎসা, সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল আজ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নিজেই জানালেন, রিপোর্ট ভালো এসেছে।

অবশেষে সাকিব আল হাসানের আঙুলের চোট নিয়ে একটা সুখবর পাওয়া গেল। মেলবোর্নের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গ্রেগ হয়ের তত্ত্বাবধানে চলছে তাঁর হাতের চিকিৎসা, সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল আজ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নিজেই জানালেন, রিপোর্ট ভালো এসেছে। আপাতত দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাওয়া আঙুলের চোটটা সাকিবকে ভালোই ভুগিয়েছে। চোটটা মারাত্মক আকার ধারণ করে দুবাইয়ে এশিয়া খেলতে গিয়ে। আঙুলের সংক্রমণ বিরাট ঝুঁকির মধ্যেই ফেলে দেয় সাকিবকে। দেশে সংক্রমণের আপৎকালীন সমাধান করে মেলবোর্নে চিকিৎসক গ্রেগ হয়ের কাছে যেতে হয়েছে দেশসেরা অলরাউন্ডারকে। সেখানে চলছে তাঁর চিকিৎসা। ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণ শেষে আজ হাতে পেয়েছেন চিকিৎসকদের রিপোর্ট। যেটি দেখে সাকিবের খুশি হওয়ার কথা। মুঠোফোন বার্তায় বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বললেন, ‘রিপোর্ট সব ভালো। ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে পুরো সেরে উঠতে সময় লাগবে।’

কত সময় লাগবে, সেটি অবশ্য এখনই বলা কঠিন। তবে মেলবোর্নে আরও এক সপ্তাহ তাঁকে থাকতে হবে। এই সাত দিন ধরে তাঁকে দেওয়া হবে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন। অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া শেষ হলে চিকিৎসক আরেকবার দেখে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।

সাকিব ভেবেছিলেন, আজ চিকিৎসকের প্রতিবেদন ভালো হলে তাঁর বিকেএসপির কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের বোনের বাসায় উঠবেন এবং শুক্রবার দেশে ফিরে আসবেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনই তাঁকে ছাড়তে রাজি নয়। সাকিবকে রোববার পর্যন্ত থাকতে হচ্ছে হাসপাতালে। সব ঠিক থাকলে ওই রাতেই দেশে ফিরবেন। সাকিবের সবচেয়ে বড় স্বস্তি, আঙুলে চামড়া উঠতে শুরু করেছে, উন্নতিও চোখে পড়ার মতো। তবে চিকিৎসকের কড়া নির্দেশ তিন মাসের আগে ব্যাট ধরা যাবে না। এই তিন মাসে যদি ব্যথা পুরোপুরি চলে যায়, সাকিবের অস্ত্রোপচার নাও লাগতে পারে। যদি ব্যথাটা থেকে যায়,তাহলে হয়তো অস্ত্রোপচারের বিকল্প থাকবে না। মেলবোর্ন থেকে ফেরার পর ধীরে ধীরে পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া শুরু করবেন সাকিব।

আঙুলের সংক্রমণে যে দুশ্চিন্তার মেঘ ধরেছিল সাকিবকে, সেটি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে—বাংলাদেশ ক্রিকেটের আপাতত এটাই বড় সুসংবাদ।