অপেক্ষার রেকর্ডে তবুও রোহিতের পেছনে ফিঞ্চ

ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে অন সাইডে শট ফিঞ্চের। ছবি: এএফপি
ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে অন সাইডে শট ফিঞ্চের। ছবি: এএফপি
>

দুবাই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষিক্ত হয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ। ৩১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান কি টেস্টে অভিষিক্ত হওয়ার আগে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার?

ফিফটি দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের। দুবাই টেস্টে আজ তৃতীয় দিনে ৬২ রান করে আউট অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার। দেশের সাদা জার্সি গায়ে তুলতে ৩১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। ‘সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশেষজ্ঞ’ তকমা পাওয়া ফিঞ্চের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০১১ সালে। টেস্টে অভিষিক্ত হতে কিনা তাঁর ৭ বছর লাগল!

টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রেখেছিলেন ফিঞ্চ। ওয়ানডে অভিষেক তার দুই বছর পর—২০১৩ সালে। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে জায়গা পেতে অপেক্ষার এই পথে একটি রেকর্ডও গড়েছেন ফিঞ্চ। দুবাইয়ে টেস্ট অভিষেকের আগে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চসংখ্যক সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান তিনি। টেস্ট অভিষেকের আগে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করা খেলোয়াড়দের মধ্যে ফিঞ্চই শীর্ষে—১১টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ৯৩টি ওয়ানডে খেলার পর অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে অভিষেক ঘটল ফিঞ্চের। তাহলে টেস্ট অভিষেকের আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ওয়ানডে ম্যাচ খেলার রেকর্ড কার? ফিঞ্চের?

না। ফিঞ্চ রেকর্ডটি ভাঙতে পারেননি। বরং ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ এই রেকর্ডটি ছোঁয়ার এক ম্যাচ আগেই ফিঞ্চের কপাল খুলেছে। টেস্ট অভিষেকের আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৯৪টি ওয়ানডে খেলার রেকর্ড সাবেক অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের। আর সব মিলিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার এই রেকর্ডটি রোহিত শর্মার। ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষিক্ত রোহিত শর্মা ৬ বছর পর টেস্টে অভিষিক্ত হন। তার আগে ১০৮টি ওয়ানডে খেলেছেন ভারতের এই ওপেনার। তবে টেস্টে এখনো অভিষিক্ত হননি কিন্তু ওয়ানডে ম্যাচ সংখ্যায় রোহিতকে ছাড়িয়ে গেছেন—এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন ডেভিড মিলার (১০৯ ম্যাচ)। প্রোটিয়া এই হার্ড হিটার টেস্টে অভিষিক্ত হলে রোহিতকে যে পেছনে ফেলবেন, তা বলাই বাহুল্য।

টেস্ট অভিষেকের আগে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সংখ্যায়ও রোহিতের পেছনে ফিঞ্চ। কলকাতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকের আগে বাকি দুই সংস্করণ মিলিয়ে ১৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন রোহিত। ফিঞ্চ খেলেছেন ১৩৫ ম্যাচ। দুবাই টেস্টে ফিঞ্চ ও উসমান খাজার (৮৫) ফিফটিতে শুরুটা দারুণ হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু মিডল অর্ডার সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৫ উইকেটে ১৮৩। প্রথম ইনিংসে ৪৮২ রান তুলেছে পাকিস্তান।