৯ রান তুলতে ৮ উইকেট!

মাঠের পানি নিষ্কাশন করছেন মালয়েশিয়ার ক্রিকেটাররা। ছবি: টুইটার
মাঠের পানি নিষ্কাশন করছেন মালয়েশিয়ার ক্রিকেটাররা। ছবি: টুইটার
>আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বে অবিশ্বাস্য স্কোরকার্ডের জন্ম দিয়েছে মিয়ানমার-মালয়েশিয়া ম্যাচ

অবিশ্বাস্য সব স্কোরকার্ড! কাল কুয়ালালামপুরে এশিয়ান অঞ্চলের আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্বে এমনই এক স্কোরকার্ডের জন্ম দিয়েছে মিয়ানমার-মালয়েশিয়া ম্যাচ। স্কোরকার্ড দেখলে চোখ রগড়ে আরও একবার দেখতে হয়। এভাবেও হুড়মুড় করে ভেঙে পড়া যায়!

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল মিয়ানমার। বৃষ্টি হানা দেওয়ার আগে তারা খেলতে পেরেছে ১০.১ ওভার। এর মধ্যেই তারা হারিয়েছে ৮ উইকেট। আর রান? উইকেটসংখ্যার চেয়ে এক বেশি। ভুল পড়েননি। ৯ রান! মিয়ানমারের মোট ছয়জন ব্যাটসম্যান ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। আরেকজন অবশ্য শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর অপরাজিত ৩ রান, এসেছে কো আংয়ের ব্যাট থেকে। লেগ বাই থেকেও এসেছে ৩ রান। বলা বাহুল্য, কোনো বাউন্ডারি নেই। ব্যাটে সর্বোচ্চ স্কোরিং শট—সিঙ্গেল। মালয়েশিয়ার বাঁহাতি স্পিনার পভনদ্বীপ সিং ১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাঁর করা ৪ ওভারের মধ্যে ৩ ওভারই মেডেন।

মজার ব্যাপার, তুচ্ছ এই স্কোর তাড়া করতে নেমে মালয়েশিয়ার শুরুটাও ছিল মিয়ানমারের মতো। বৃষ্টির কারণে মালয়েশিয়ার টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৮ ওভারে ৬ রান। তা তাড়া করতে নেমে দলীয় ১ রানের মধ্যে দুই ওপেনার নেই! সেটিও মিয়ানমার পেসার পেইং দানুর করা প্রথম ওভারে। শেষ পর্যন্ত সুহান আলাগারত্মম ছক্কা মেরে মালয়েশিয়াকে জিতিয়েছেন ৮ উইকেটে।

বৃষ্টি হানা দেওয়ায় ম্যাচটা পণ্ড হওয়ার শঙ্কা ছিল। মালয়েশিয়ার খেলোয়াড়েরা তা কোনোভাবেই হতে দিতে চাননি। ম্যাচ পুনরায় শুরু করতে তাঁরা নিজেরাই মাঠে নেমে পানি নিষ্কাশন করেছেন। বাংলাদেশের কোনো পুরোনো ক্রিকেটপ্রেমী এই দৃশ্য দেখলে নিশ্চয়ই তাঁর মনে পড়ে যেত ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফিকে। সেবার দ্বিতীয় রাউন্ডে হল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। এ ম্যাচটা পণ্ড হলে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলা হতো না বাংলাদেশের। কিন্তু বৃষ্টি হানা দেওয়ায় ম্যাচটা পণ্ড হওয়ার শঙ্কা ছিল। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা এমনকি সমর্থকরাও সবাই মাঠে নেমে পানি নিষ্কাশন করে ম্যাচটা পুনরায় শুরুর ব্যবস্থা করেছিলেন এবং ম্যাচটা জিতেছিল বাংলাদেশ।