নেইমার-এমবাপ্পের রসায়নে 'একঘরে' কাভানি

নেইমার-এমবাপ্পের রসায়নে মিশছেন না কাভানি। ছবি: রয়টার্স
নেইমার-এমবাপ্পের রসায়নে মিশছেন না কাভানি। ছবি: রয়টার্স

আক্রমণের ত্রিফলা হিসেবে সেরা কারা? গত মৌসুমে লিভারপুল আর পিএসজির মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছিল। এ মৌসুমে লিভারপুলের ফলার ধার টের পাওয়া যাচ্ছে না। তিন ফলাতেই কেমন যেন মরিচা ধরেছে। অন্যদিকে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে পিএসজির ‘ত্রিফলা’ জুটি। মৌসুমের এক-চতুর্থাংশ পেরোনোর আগেই নেইমার, এমবাপ্পে ও কাভানি মিলে ২৭ গোল দিয়ে ফেলেছেন। প্রশ্নাতীতভাবেই বিশ্বের সেরা আক্রমণ ত্রয়ী এখন পিএসজির দখলে।

না, ভুল হলো। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমের দাবি, ফ্রেঞ্চ জায়ান্টদের আক্রমণভাগ এখন দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে এডিনসন কাভানি, অন্যদিকে আক্রমণের একই বৃন্তে দুটি কুসুম হয়ে ওঠা নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। এ মৌসুমে তিনজনের খেলার ধরনেই সেটা স্পষ্ট। টমাস টুখেলের অধীনে এমবাপ্পে ও নেইমারই প্রাধান্য পাচ্ছেন বেশি। নিষেধাজ্ঞার জন্য বেশ কয়েকটি ম্যাচ অনুপস্থিত ছিলেন এমবাপ্পে। তবু কোচ টুখেলের দলে প্রতিদিন জায়গা হয়নি কাভানির। ৭ ম্যাচে ৬ গোলের পরিসংখ্যান বলছে দারুণ ফর্মে আছেন কাভানি। বাস্তবতা হলো, পিএসজিতে বড় খারাপ সময় যাচ্ছে উরুগুয়ের এই ফুটবলারের।

ফ্রেঞ্চ সংবাদপত্র লেকিপ জানিয়েছে, কাভানি নিঃসঙ্গ বোধ করছেন, তাঁর ধারণা তাঁকে সমর্থন দিচ্ছে না কেউ। পত্রিকাটির দাবি, নেইমার ও এমবাপ্পের কারণে দিন দিন ক্লাবে একঘরে হয়ে পড়েছেন ক্লাবটির রেকর্ড গোলদাতা। এ কারণে নাকি ইদানীং গোল করার পর উদ্‌যাপনের আগ্রহও পাচ্ছেন না। যেখানে নেইমার ও এমবাপ্পে দিন দিন মাঠের সম্পর্ককে ব্যক্তিজীবনেও টেনে নিচ্ছেন, সেখানে দিন দিন আরও দূরে সরে যাচ্ছেন কাভানি।

গত মৌসুমে পেনাল্টি নেওয়া নিয়ে কাভানি-নেইমার দ্বন্দ্বে বিজয়ী হয়েছিলেন নেইমার। এরপর আর কাভানির সঙ্গে সম্পর্কে কোনো উন্নতি হয়নি নেইমারের। এ মৌসুমে খেলাতেও এর প্রভাব পড়েছে। নেইমার মাঠে যত পাস দেন, তার ২৫ ভাগই যায় এমবাপ্পের দিকে। আর এমবাপ্পের ৩১ ভাগ পাসই নেইমারমুখী। ওদিকে নেইমার মাত্র ০.৫ শতাংশ পাস পাঠান কাভানির দিকে। এমবাপ্পে অবশ্য একটু উদার। ৫ ভাগ পাস দিচ্ছেন কাভানিকে। এর ফলেই ৭ ম্যাচে ১০ গোল এমবাপ্পের, ১১ ম্যাচে ১১ গোল নেইমারের। এ দুজনের এমন রসায়নের মাঝেও কাভানি যে ৬ গোল পেয়েছেন, এটাই বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে।

মৌসুমের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল, কাভানিকে আর সতীর্থ হিসেবে চান না নেইমার। মাঠে নেইমার-এমবাপ্পের রসায়ন এবং লিঁওর বিপক্ষে কাভানি নেমে যাওয়ার পর এমবাপ্পের ৪ গোলের পর উরুগুয়ের ফরোয়ার্ডের প্যারিস বাস কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে প্রশ্ন থাকছেই।